ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

এটিএম শামসুজ্জামানের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন নেই 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৯
এটিএম শামসুজ্জামানের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন নেই 

কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের শারীরিক অবস্থা এখন ভালোর দিকে। তার মলত্যাগের সমস্যা দূর হয়েছে। তাই এখন আর তার পুনরায় অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন নেই।

সোমবার (০২ ডিসেম্বর) এটিএম শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েল আহমেদ বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘মলত্যাগের সমস্যার কারণে ২৫ নভেম্বর বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুরুতে চিকিৎসক ভেবেছিলেন বাবাকে পুনরায় অস্ত্রোপচার করতে হবে। কিন্তু ৬দিন পর রোববার (০১ ডিসেম্বর) বাবার মলত্যাগ স্বাভাবিক হয়েছে। তাই এখন আর অস্ত্রোপচার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। ’

২০১৭ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পেতে যাচ্ছেন এটিএম শামসুজ্জামান। ৮ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় এই সম্মাননাটি বিজয়ীদের হাতে তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় এটিএম শামসুজ্জামানের পুরস্কার গ্রহণ করা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল।

আরও পড়ুন >> অসুস্থ হয়ে আবারো হাসপাতালে এটিএম শামসুজ্জামান

এ প্রসঙ্গে কোয়েল আহমেদ বলেন, এখন বাবার শারীরিক অবস্থা ভালোর দিকে। সব ঠিক থাকলে ইনশাআল্লাহ তিনি ৮ ডিসেম্বরের আগে বাসায় ফিরতে পারবেন। আশা করি সবার দোয়ায় তিনি নিজ হাতেই পুরস্কার গ্রহণ করবেন।  
 
গত ২৫ নভেম্বর এটিএম শামসুজ্জামানকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  

এর আগে গ্যাস্ট্রিক এবং মলত্যাগজনিত সমস্যার কারণে চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল এটিএম শামসুজ্জামানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তখন তার অবস্থা অবনতির দিকে গেলে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করা হয় এবং লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।

প্রায় চার মাস চিকিৎসা নিয়ে গত ২৯ আগস্ট রাজধানীর বসুন্ধরায় মেয়ের বাসায় উঠেন এটিএম শামসুজ্জামান। সেখানেই তিনি এতদিন বসবাস করছিলেন।  

১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে এটিএম শামসুজ্জামান জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। প্রথম চিত্রনাট্যকার হিসেবে তিনি কাজ করেছেন ‘জলছবি’ সিনেমায়। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন বর্ষীয়ান এ অভিনেতা।  

১৯৬৫ সালে অভিনেতা হিসেবে এটিএম শামসুজ্জামানের সিনেমায় অভিষেক ঘটে। ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ সিনেমায় খলনায়ক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। সিনেমার পাশাপাশি অসংখ্য খণ্ড নাটক ও ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি।

একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য এ অভিনেতার একমাত্র পরিচালিত সিনেমা ‘এবাদত’। এর আগে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এ কিংবদন্তি। কাজী হায়াতের ‘দায়ী কে’ সিনেমার জন্য দুটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান তিনি। এরপর ‘চুড়িওয়ালা’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’ এবং ‘চোরাবালি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য একই পুরস্কার লাভ করেন এটিএম শামসুজ্জামান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।