ক্রেতার কাছ থেকে আরও পাঁচ লাখ টাকা পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। গুণী এই শিল্পীর বাড়ি বিক্রির বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন তারই শিষ্য মোমিন বিশ্বাস।
কিন্তু বাড়ি বিক্রির টাকা এন্ড্রু কিশোরের ব্যয়বহুল চিকিৎসার জন্য যথাযথ না। যে কারণে বাধ্য হয়েই তার চিকিৎসার জন্য তহবিল গঠনের আবেদন করেন তার স্ত্রী লিপিকা এন্ড্রু। ‘গো ফান্ড মি’ নামের ওয়েবসাইটে এটি করা হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসা বোর্ডের কাগজপত্র নিয়ে সিঙ্গাপুরপ্রবাসী বাংলাদেশিরা এই অনলাইন ফান্ডিংয়ের পেজ চালু করেন।
ইতোমধ্যে এন্ড্রু কিশোরের চিকিৎসায় এক কোটিরও বেশি টাকা খরচ হয়েছে। এখন অনেকেই তার চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসছেন। এরই মধ্যে ৫০ লাখ টাকার মতো সহায়তা পাওয়া গেছে।
প্রথম ধাপে ক্যান্সার আক্রান্ত এন্ড্রু কিশোরের তিনটি সাইকেলে ১২টি কেমোথেরাপি সম্পন্ন হয়েছে। গত ২৬ নভেম্বর থেকে কেমোথেরাপির পরবর্তী সাইকেল শুরু হয়েছে। ৩টি সাইকেলে আরও ১২টি কেমোথেরাপি দেওয়া হবে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। প্রত্যেকটি কেমোর জন্য লাগছে ৯ লাখ টাকা। আর পুরো চিকিৎসা সম্পন্ন করার জন্য আরও ২ কোটি ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। চিকিৎসা চলবে আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোর। ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে ১৮ সেপ্টেম্বর এন্ড্রু কিশোরের বায়োপসি রিপোর্ট পাওয়া যায়।
রিপোর্টে তার শরীরে ক্যান্সারের অস্তিত্ব মেলে। অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং দীর্ঘ সময় এই চিকিৎসার তেমন কোনো পূর্ব প্রস্তুতি না নিয়ে গেলেও ডাক্তারদের পরামর্শে দ্রুত তার চিকিৎসা শুরু হয়। সেখানের চিকিৎসায় তার অবস্থা ভালোর দিকে, তবে এখন প্রয়োজন আরও অনেক টাকার। গুণী এই শিল্পীর চিকিৎসা জন্য অর্থ সংগ্রহের কাজটি করছেন তারই শিষ্য মোমিন বিশ্বাস।
গত ৯ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান এন্ড্রু কিশোর। সেখানে তার সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী লিপিকা এন্ড্রু।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
ওএফবি