ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

মাহফুজুর রহমানের জানাজা বিএফডিসিতে, আজিমপুরে দাফন 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৯
মাহফুজুর রহমানের জানাজা বিএফডিসিতে, আজিমপুরে দাফন 

না ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রখ্যাত চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান (৭০)। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১২টা ২৬মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।

দশবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই চিত্রগ্রাহকের মরদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তার পুরান ঢাকার বাসায়। শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) জুম্মার নামাজের পর চকবাজারের শাহী মসজিদে মাহফুজুর রহমান খানের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

 

এরপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি)। সেখানে বিকেল ৩টায় দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তাকে শ্রদ্ধা জানাবেন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন, শিল্পী ও তার ঘনিষ্ঠজনেরা।

জানাজা শেষে মাহফুজুর রহমান খানকে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে চিরশায়িত করা হবে।

এসব তথ্য বাংলানিউজকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাংগঠনিক সচিব কাবিরুল ইসলাম রানা।

গত ২৫ নভেম্বর রাতের খাবার খাওয়ার সময় মাহফুজুর রহমান খান হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তার নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করে। পরে তাকে রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।

গত ৩০ নভেম্বর মাহফুজুর রহমান খানের অবস্থা বেগতিক দেখে চিকিৎসকদের পরামর্শে সেখান থেকে ইউনাইটেড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আর এখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।  

২০০১ সালে মাহফুজুর রহমান খানের স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ধীরে ধীরে তিনি অসুস্থ হতে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ও ফুসফুসের রোগে ভুগছিলেন এই চিত্রগ্রাহক।

মাহফুজুর রহমান খান অসংখ্য চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করেছেন। স্বীকৃতি স্বরূপ দশবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আটবার বাচসাস এবং একবার বিশেষ বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পেয়েছেন।

১৯৪৯ সালের ১৯ মে পুরান ঢাকার হেকিম হাবিবুর রহমান রোডের এক বনেদি পরিবারে মাহফুজুর রহমান খান জন্মগ্রহণ করেন। পেশাদার চিত্রগ্রাহক হিসেবে তিনি ১৯৭২ সালে প্রথম চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তিনি আলমগীর কবির, আলমগীর কুমকুম, হুমায়ুন আহমেদ, শিবলি সাদিকদের মতো চলচ্চিত্র পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন।

তার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেমাগুলো হলো- অভিযান (১৯৮৪), সহযাত্রী (১৯৮৭), পোকামাকড়ের ঘরবসতি (১৯৯৬), শ্রাবণ মেঘের দিন (১৯৯৯), দুই দুয়ারী (২০০০), হাজার বছর ধরে (২০০৫), আমার আছে জল (২০০৮), বৃত্তের বাইরে (২০০৯), ঘেটুপুত্র কমলা (২০১২) ও পদ্ম পাতার জল (২০১৫)।

চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করার আগে তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করেছেন। ‘দাবি’ ও ‘চল ঘর বাঁধি’সহ বেশকিছু চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে তাকে পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯
জেআইএম

আরও পড়ুন> চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান আর নেই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।