এর আগে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) মাহফুজুর রহমানের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
মাহফুজুর রহমানের দীর্ঘদিনের কর্মস্থল বিএফডিসিতে দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় আজিমপুর কবরস্থানে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১২টা ২৬ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দশবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান (৭০)।
এদিকে গত ২৫ নভেম্বর রাতের খাবার খাওয়ার সময় মাহফুজুর রহমান খান হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তার নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করে। পরে তাকে রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
গত ৩০ নভেম্বর মাহফুজুর রহমান খানের অবস্থা বেগতিক দেখে চিকিৎসকদের পরামর্শে সেখান থেকে ইউনাইটেড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আর এখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
২০০১ সালে মাহফুজুর রহমান খানের স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ধীরে ধীরে তিনি অসুস্থ হতে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ও ফুসফুসের রোগে ভুগছিলেন এই চিত্রগ্রাহক।
মাহফুজুর রহমান খান অসংখ্য চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করেছেন। স্বীকৃতিস্বরূপ দশবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আটবার বাচসাস এবং একবার বিশেষ বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পেয়েছেন।
১৯৪৯ সালের ১৯ মে পুরান ঢাকার হেকিম হাবিবুর রহমান রোডের এক বনেদি পরিবারে মাহফুজুর রহমান খান জন্মগ্রহণ করেন। পেশাদার চিত্রগ্রাহক হিসেবে তিনি ১৯৭২ সালে প্রথম চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তিনি আলমগীর কবির, আলমগীর কুমকুম, হুমায়ুন আহমেদ, শিবলি সাদিকদের মতো চলচ্চিত্র পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন।
তার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেমাগুলো হলো- অভিযান (১৯৮৪), সহযাত্রী (১৯৮৭), পোকামাকড়ের ঘরবসতি (১৯৯৬), শ্রাবণ মেঘের দিন (১৯৯৯), দুই দুয়ারী (২০০০), হাজার বছর ধরে (২০০৫), আমার আছে জল (২০০৮), বৃত্তের বাইরে (২০০৯), ঘেটুপুত্র কমলা (২০১২) ও পদ্ম পাতার জল (২০১৫)।
চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করার আগে তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করেছেন। ‘দাবি’ ও ‘চল ঘর বাঁধি’সহ বেশকিছু চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে তাকে পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯
ওএফবি