১৯৭৯ সালের এই দিনে যশোর জেলার শার্শা উপজেলার নাভারণে শাবনূরের জন্ম। তার পারিবারিক নাম কাজী শারমিন নাহিদ নুপুর।
সাব্বিরের বিপরীতে শাবনূরের প্রথম সিনেমা এহতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী রাতে’ (১৯৯৩) ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হলেও পরে সালমান শাহের সঙ্গে প্রায় প্রতিটি সিনেমাই দারুণ সফল হয়। জনপ্রিয় সালমান শাহ-শাবনূর জুটির ১৪টি সিনেমাই হিট কিংবা সুপারহিট হয়। এই জুটির প্রথম ছায়াছবি জহিরুল হক পরিচালিত ‘তুমি আমার’ ১৯৯৪ সালে মুক্তি পায়। একই বছর শাহ আলম কিরণ তাদের নিয়ে ফারুক-কবরী জুটির ‘সুজন সখী’ চলচ্চিত্রের রঙিন পুনঃনির্মাণ করেন। ১৯৯৫ সালে ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ১৯৯৬ সালে ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘তোমাকে চাই’, ১৯৯৭ সালে শিবলি সাদিক পরিচালিত ‘আনন্দ অশ্রু’ এ জুটির উল্লেখযোগ্য ছবি।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মহাতারকা সালমান শাহের মৃত্যু ছিল বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি। মাত্র তিন বছরে সালমান শাহ-শাবনূর বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে নতুন ধারায় এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান। সালমানের মৃত্যুর পর শাবনূর নায়ক রিয়াজের সঙ্গে অভিনয় করেও দারুণ সাফল্য পান। রিয়াজের বিপরীতে ১৯৯৭ সালে ‘মন মানে না’ ও ‘তুমি শুধু তুমি’ এবং ১৯৯৯ সালে অভিনীত ‘ভালবাসি তোমাকে’ ও ‘বিয়ের ফুল’ সিনেমাগুলো দারুণ ব্যবসাসফল হয়। পাশাপাশি অভিনেতা ফেরদৌসের সাথেও সফল হন তিনি। এছাড়াও তিনি মান্না, শাকিব খানের সাথে অভিনয় করে সফল হয়েছেন।
দারুণ অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ শাবনূর দশবার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার জয় করেছেন। বাচসাস পুরস্কার জিতেছেন দুইবার। আর ২০০৫ সালের ‘দুই নয়নের আলো’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
শাবনূর ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিয়ে করেন ব্যবসায়ী অনিক মাহমুদকে। এরপর তিনি অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস শুরু করেন ও নাগরিকত্ব লাভ করেন। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর তিনি ১ম ছেলে সন্তানের মা হন। তার ছেলের নাম আইজান নিহান। সম্প্রতি কিছুদিনের জন্য দেশে ফিরেছেন তিনি। ‘কাঁটাতারের বেড়া’ নামের একটি সিনেমায় তার অভিনয় করার কথা চলছে। বেশ লম্বা একটি বিরতির পর তুমুল জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীকে বড় পর্দায় আবারও দেখার জন্য অগণিত ভক্ত দীঘকাল ধরেই মুখিয়ে আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯
এমকেআর