ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

বিনোদন

নানা আয়োজনে পাবনায় সুচিত্রা সেনের প্রয়াণ দিবস পালন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২০
নানা আয়োজনে পাবনায় সুচিত্রা সেনের প্রয়াণ দিবস পালন

পাবনা: নানা আয়োজনে পাবনায় পালন করা হচ্ছে বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি মহানায়িকা সুচিত্র সেনের ষষ্ঠ প্রয়াণ দিবস।

পাবনা জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শুরুতে সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক বসত বাড়িতে নির্মিত  সুচিত্রা সেনের ভাষ্কর্যের প্রতি ফুলের শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সংস্কৃতি কর্মীরা।

এরআগে, সকাল সাড়ে ৯টায় বসতবাড়ি থকে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও অতিথিরা একটি ব্যানার নিয়ে স্মরণ পদযাত্রা বের করে।

পদযাত্রাটি শহর প্রদক্ষিণ করে সুচিত্রা সেনের কৈশর জীবনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পূর্বের মহাখালি পাঠশালা বর্তমানে টাউনহল স্কুল প্রাঙ্গনের গিয়ে শেষ হয়। স্মরণ পদযাত্রা শেষে স্কুল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় সুচিত্রা স্মরণে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা।  

পাবনা জেলা প্রশাসক কবির মাহামুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভার আলোচনায় অংশ নেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. কামরুজ্জামান, শিক্ষাবিদ লেখক প্রফেসর মনোয়ার হোসেন জাহেদী, পাবনা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি আব্দুল মতিন খান, পাবনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামিম আরা প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে অনুষ্ঠিত হয় সুচিত্রা সেন অভিনীত বিভিন্ন চলচ্চিত্রের গানের অনুষ্ঠান। গান পরিবেশন করেন ক্লোজাপ তারকা বিউটি আক্তার মুক্তা। বিকেলে মহানায়িকার বসতবাড়ি স্মৃতি সংগ্রহশালায় দেখানো হবে সুচিত্রা সেন অভিনীত বাংলা ছবি।

২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি বাংলা চলচ্চিত্রের এই মহানায়িকা সবাইকে শোক সাগরে ভাসিয়ে চলে যান না ফেরার দেশে। এই মহানায়িকার পৈত্রিক বাড়ি পাবনার সাংস্কৃতিকর্মীদের আন্দোলন ও প্রশাসনের সহযোগিতায় জামায়াতের হাত থেকে দখল মুক্ত হয় প্রায় সাত বছর আগে। আইনগতভাবে লড়াই করে ২০১৪ সালের ১৪ জুলাই জামায়েতের হাত থেকে দখল মুক্ত হয় সুচিত্রা সনের বসতভিটা। আর সংস্কার কাজ সম্পূর্ণ করে পাবনা জেলা প্রশাসক ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল জন সাধারণের জন্য অবমুক্ত করেন মহানায়িকার বাড়িটি।

সুচিত্রা সেনের জন্ম ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল পাবনার গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনে। ১৯৬০ সালে বসতভিটাটি রেখে সপরিবারে পাড়ি জমান কলকাতায়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। ১৯৫২ সালে তিনি চলচ্চিত্র জগতে প্রথম পা রাখেন। ১৯৫৩ সালে মহানায়ক উত্তম কুমারের সঙ্গে সাড়ে চুয়াত্তর ছবি করে সাড়া ফেলে দেন চলচ্চিত্র অঙ্গনে। সুচিত্রা সেন বাংলা ও হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেন। তার অভিনীত প্রথম হিন্দি ছবি দেবদাস (১৯৫৫) ও ১৯৭৮ সালে প্রণয় পাশা তা শেষ ছবি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।