সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটারে শোকাঞ্জলির আয়োজন করা হয় এবং জাতীয় নাট্যশালার সামনের অংশকে ‘নিশাত চত্বর’ ঘোষণা করে নামফলক ঝুলিয়েছেন মঞ্চশিল্পীরা। শোকাঞ্জলির আয়োজন করে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন।
এ আয়োজনে নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার বলেন, কাজের স্বার্থে অনেক সময় অনেক কিছু আমাদের আপোষ করে চলতে হয়। অনেক সময় ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সত্য কথাটা বলতে পারি না। কিন্তু নিশাত কখনো আপোষ করতো না। তরুণ নাট্যশিল্পীদের নিশাতের মতো সাহসী হতে হবে।
এ আয়োজনে নিশাতকে নিয়ে লেখা শোক বক্তব্য পাঠ করেন নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু। এছাড়া বক্তব্য দেন গোলাম কুদ্দুছ, আতাউর রহমান, শিমূল ইউসুফ, আজাদ আবুল কালাম, ঠাণ্ডু রায়হান প্রমুখ। আবৃত্তি করেন আহকাম উল্লাহ।
ইশরাত নিশাতের মৃত্যুর পর জাতীয় নাট্যশালার সামনে অংশকে ‘নিশাত চত্বর’ ঘোষণার প্রথম দাবি তুলেন মঞ্চ বিষয়ক কাগজ ‘ক্ষ্যাপা’র সম্পাদক পাভেল রহমান। পরে এ দাবির সঙ্গে থিয়েটার অঙ্গনের অনেকেই একাত্মতার কথা জানান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এ বিষয়ে দেশ নাটকের নির্দেশক ও নাট্যকার মাসুম রেজা বলেন, সরকারি জায়গাতে সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত অফিসিয়ালি চত্বর ঘোষণা করা যায় না। এখানে একটি নামফলক গাছে ঝোলানো হয়েছে, থিয়েটার ফেডারেশনের পক্ষ থেকে। জায়গাটি নিশাত চত্বর নামে পরিচিতি পাক, সেটাই আমাদের চাই। সরকারিভাবে স্বীকৃতির জন্যও আমরা আবেদন করবো। তবে তার আগেই আমরা এ চত্বরের নামটি ছড়িয়ে দিতে চাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
ওএফবি