যে অভিনেতাকে এখন বলিউডের গ্রিক দেবতা বলা হয়, তিনি বাস্তবে মোটেও এতটা স্মার্ট ও নিখুঁত ছিলেন না। অনেকে জেনে বিস্মিত হবেন যে, ঋত্বিক রোশনের মেরুদণ্ড কিছুটা বাঁকা ছিল।
এত সীমাবদ্ধতার পরও দমে যাননি ঋত্বিক। বলিউড অভিনেতা ও চিত্রপরিচালক রাকেশ রোশনের ছেলে তিনি। অথচ প্রতাপশালী তারকার ঘরে জন্ম নিয়েও তার নিজের তারকা হয়ে ওঠা মোটেও সহজ ছিল না। তবে এ যাত্রায় তার পাশে ছিল পরিবার। ঋত্বিক তার মেরুদণ্ডের সমস্যাটা চিকিৎসায় ঠিক করে নেন। কিন্তু হাতের ৬টি আঙুলকে তার সীমাবদ্ধতা নয়, বরং শক্তি বা আশীর্বাদ হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অনেক প্রচেষ্টায় নিজের তোতলামিকেও জয় করেছেন তিনি। এরপর তিনি আবির্ভূত হন বড় পর্দায়। আর অভিষেকেই সুপারহিট সিনেমা ‘কাহো না পিয়ার হ্যায়’ উপহার দেন বলিউডকে।
নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করে সকল সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ঋত্বিকের সুপারস্টার হয়ে ওঠার গল্প এখন শিশু-কিশোরদের প্রেরণা দিচ্ছে। ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে ষষ্ঠ শ্রেণির ‘জীবন ও মূল্যবোধ শিক্ষা’ পাঠ্যপুস্তকে ‘আত্মবিশ্বাস’ নামের অধ্যায়ে যুক্ত করা হয়েছে ঋত্বিক রোশনের বড় হয়ে ওঠার প্রেরণামূলক গল্প। এস. চাঁদ পাবলিকেশন্স প্রকাশিত বইটি ম্যাট্রিক স্কুলগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যবোধ শিক্ষার জন্য পাঠ্য হিসেবে রয়েছে।
এছাড়া আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন লেখক বেন ব্রুকস রচিত ‘স্টোরিস ফর বয়েজ হু ডেয়ার টু বি ডিফারেন্ট’ বইয়েও ‘ওয়ার’খ্যাত তারকা ঋত্বিক রোশনের জীবনের গল্প অমর হয়ে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২০
এমকেআর