এক সপ্তাহ ধরে মুম্বাইয়ের এইচএন রিলায়ান্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালে আইসিইউতে ছিলেন ঋষি কাপুর। অবশেষে বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৬৭ বছর বয়সী এই তারকা।
ঋষি কাপুরের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন বলিউড মেগাস্টার অমিতাব বচ্চন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ‘বিগ বি’ লেখেন, ‘তিনি চলে গেলেন। ঋষি কাপুর চলে গেছেন। আমি বিধ্বস্ত। ’
এদিন কাপুর পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের প্রিয় ঋষি কাপুর সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে চলে গেছেন। দুই বছর ধরে তার লিউকেমিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ হলো। ডাক্তার ও মেডিক্যাল স্টাফরা জানিয়েছেন, তিনি সবসময় সবাইকে মাতিয়ে রাখতেন। দু’বছর ধরে তার চিকিৎসা চলাকালীন তিনি সবসময় হাসিখুশি থেকেছেন। ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ীদের ভালোবাসায় তিনি কৃতজ্ঞ। পরিবার, বন্ধু, খাদ্য আর সিনেমা নিয়েই তিনি সময় কাটিয়েছেন। যারা এসময়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন, তারা সবাই অবাক হয়েছেন, তিনি রোগকে কখনো তার ওপরে প্রভাব বিস্তার করতে দেননি। তার চলে যাওয়ার পর সবাই বুঝতে পারবেন, হাসিমুখেই তার স্মৃতিচারণ সবাই করুক, অশ্রুসিক্ত চোখে নয়, এটাই তার চাওয়া ছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একে একে সকল তারকাই ঋষি কাপুরের মৃত্যুতে শোকবার্তা জানাচ্ছেন এবং স্মৃতিচারণ করছেন।
ঋষির মৃত্যুতে রাজনৈতিক শীর্ষ নেতারাও শোকাহত। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার শোকবার্তায় জানিয়েছেন, ‘কিংবদন্তি ও বহুমুখী অভিনেতা ঋষি কাপুরের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই অভিনেতা দেড়'শর বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তার অসুস্থতাকেও তিনি মর্যাদা বজায় রেখে মোকাবিলা করেছেন। তার পরিবার, বন্ধু, ভক্ত ও চিত্রজগতের সবার প্রতিই আমার সমবেদনা। ’
২০১৮ সালে ঋষি কাপুরের শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ে। এরপর নিউইয়র্কে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেন। তার স্ত্রী নীতু কাপুর সবসময়ই তার পাশে ছিলেন। বাবার পাশে থাকার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন রণবীর কাপুরও। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে রণবীরের বাবা-মা দেশে ফেরেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২০
এমকেআর/জেআইএম