তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটলো সালমান খানের বাড়ির সামনে। কয়েক ঘণ্টা আগেই সামনে এসেছিল সুশান্তের শহর পাটনায়, সেখানে সালমানের বিইং হিউম্যান স্টোরের সামনে বিক্ষোভ করছিলেন প্রয়াত অভিনেতার একদল ভক্ত।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সালমানের বান্দ্রার বাড়ির সামনে তার বিইং হিউম্যান স্টোর বন্ধ করে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন বহু মানুষ। সেখানে 'সালমান খান মুর্দাবাদ' স্লোগানও শোনা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, সালমান খানকে গালিগালাজও করেছে বিক্ষোভকারীরা। বলেছে 'সালমানের টানানো ছবি সরিয়ে দাও। ’
যদিও এই খবর প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তৎপরতা দেখিয়েছে মুম্বাই পুলিশ। বিক্ষোভের ভিডিওটি ট্যাগ করে টুইটে বলেছে, ‘বান্দ্রা থানার শীর্ষ পুলিশকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ’
সুশান্তের মৃত্যুর পরই আঙুল উঠেছিল বলিউডের প্রথম সারির বেশ কিছু অভিনেতা, প্রযোজক এবং পরিচালকের বিরুদ্ধে। ঠিক যেমন থ্রি ইডিয়টস সিনেমায় জয় লোবোর আত্মহত্যাকে র্যা ঞ্চো আদতে খুন বলে দাবি করেছিলেন, সুশান্তের ক্ষেত্রেও তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বলিউডের এইসব মাথাদের বিরুদ্ধে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বহু সেলেবও মুখ খুলেছিলেন, কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছিল সলমান খান , করণ জোহর, সঞ্জয় লীলা বনশালী, যশ রাজ ফিল্মসকে। এমনকি তাকে প্রথম ব্রেক দেওয়া একতা কাপুরকেও।
তবে শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় মৌখিক অভিযোগেই বিদ্ধ হলেন না তারা। বিহারের মুজাফফরপুরের এক আদালতে এদের সবার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬, ১০৯, ৫০৪ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করেন আইনজীবী সুধীর কুমার ওঝা।
তিনি জানান, মামলায় আমি অভিযোগ করেছি যে, প্রায় ৭টি সিনেমা থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। কিছু সিনেমা হলে মুক্তি দেওয়া হচ্ছিল না। এমন পরিস্থিতি তার জীবনে তৈরি করা হয়েছিল, যা সুশান্তকে বাধ্য করেছে এই চরম পদক্ষেপ করতে।
কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরুপমও দাবি করেন, গত ৬ মাসে সুশান্তের হাত থেকে কেঁড়ে নেওয়া হয়েছে ৭টি সিনেমার অফার। টুইটে তিনি লিখেছিলেন, অর্ধ বছরে ৭ সিনেমা হাতছাড়া হয়ে গেল! কিন্তু কেন? এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নির্মমতার কোনও সীমা নেই। আর এই নির্মম আচরণই এক প্রতিভাবান অভিনেতার প্রাণ কেড়ে নিল।
এদিকে, মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অনিল দেশমুখ আশ্বস্ত করে বলেছেন, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে পেশাদারি শত্রুতার কোনো কারসাজি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২০
ওএফবি