সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী। দিন যতই যাচ্ছে তাকে ঘিরে রহস্য ততই ঘনীভূত হচ্ছে।
কিছুদিন আগে রিয়া দাবি করেছিলেন, বিমানে উড়ার সময় ক্লাস্ট্রোফোবিক (আবদ্ধতাভীতি, এক ধরনের মানসিক সমস্যা) আতঙ্কে ভুগতেন সুশান্ত। কিন্তু অভিনেত্রীর সেই দাবি মেনে নিতে পারেননি সুশান্তের অনুরাগীরা। রিয়ার দাবি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা অঙ্কিতা লোখান্ডেও।
কিন্তু সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সুশান্তের একটি সাক্ষাৎকার, যেখানে ‘কেদারনাথ’র মনসুর জানিয়েছিলেন, সুশান্ত ‘ক্লাস্ট্রোফোবিক’।
২০১৫ সালে ‘জি কাফে’র একটি সাক্ষাৎকারে সুশান্তের সঙ্গে একটি মজার খেলা খেলেছিলেন সঞ্চালক। সেখানে সুশান্তকে তার জীবনের তিনটি তথ্য জানাতে হয়। তার মধ্য থেকে দর্শকরা অনুমান করতেন, কোনটি ভুল। অর্থাৎ বাকি দুটি ঠিক হবে।
সেই সাক্ষাৎকারে সুশান্ত বলেন, ‘এক নম্বর- আমি ‘ক্লাস্ট্রোফোবিক’। দু’নম্বর- আমি দিনে ছ’ঘণ্টা ঘুমাই আর তিন নম্বর- আমি খুব ভালো গান করি। ’
পরে সুশান্ত নিজেই সেই রহস্য ফাঁস করেন। জানান, নিজের সম্পর্কে দ্বিতীয় তথ্যটি ভুল বলেছেন তিনি। অনিদ্রাজনিত সমস্যার জন্য দিনে মাত্র দু’ঘণ্টা ঘুমোতে পারেন।
সেই ভিডিওটি সামনে আসার পর অনেকে আবার রিয়ার সমর্থনে মুখ খুলেছেন, যিনি কয়েকদিন আগে ‘ইন্ডিয়া টুডে’র সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘ইউরোপে ঘুরতে যাওয়ার সময় সুশান্ত আমায় বলেছিল, উড়ানের সময় নিজেকে তার ক্লাস্ট্রোফোবিক মনে হয়। সেজন্য সে একটি ওষুধ নিতো। যেটার নাম মোডাফিলিন। তার কাছে ওই ওষুধটা সবসময় থাকতো এবং বিমানে ওঠার আগে সে নিজেই ওষুধ খেয়ে নিয়েছিল। তার প্রেসক্রিশনেরও প্রয়োজন ছিল না। কারণ এই ওষুধ তাকে নিয়মিতই খেতে হতো। ’
এদিকে ইডি, সিবিআইয়ের সঙ্গে এখন নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো– সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্ত চালাচ্ছে ভারতের এই তিনটি কেন্দ্রীয় সংস্থা।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২০
ওএফবি