বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে নেমে রিয়ার মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়টি সামনে আনে ইডি। এরপরই নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো এই মামলায় পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করে।
মামলার সূত্র ধরে বলিউডের বড়সড় ড্রাগচক্র’র রহস্যভেদ করতে উঠেপড়ে গেলেছে এনসিবি। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) চার মাদক ব্যবসায়ীকে হেফাজতে নেয় এনসিবি। যার মধ্যে ২ জন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।
জায়েদ ভিলাট্রা এবং আবদুল বাসিত পারিহার নামের দুই মাদক কারবারিকে বান্দ্রা থেকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি। দুজনের সঙ্গেই সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে রিয়া চক্রবর্তী ও শৌভিক চক্রবর্তীর। আবদুল বাসিতের সঙ্গে ড্রাগের আদান-প্রদান নিয়ে স্যামুয়েল মিরান্ডার কথোপকথন ইতোমধ্যেই সিবিআই ও এনসিবির হাতে রয়েছে। শৌভিক চক্রবর্তীর কল ডিলেটস রেকর্ডেও নাম রয়েছে জায়েদ ভিলাট্রার।
ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবর, দুইজনের মধ্যে একজন মেনে নিয়েছে শৌভিক চক্রবর্তী ৫ গ্রাম ড্রাগ কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা দিয়েছিল। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ এই দুই মাদক ব্যবসায়ীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করাবে এনসিবি। এরপর তাদের আদালতে পেশ করা হবে। এই মামলায় শিগগিরই শৌভিক চক্রবর্তীকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশনা পাঠাবে এনসিবি।
রিয়া চক্রবর্তীর মাদকের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সূত্র ধরে এনসিবির নজরে রয়েছে চারজন হাই প্রোফাইল ব্যক্তিত্ব, যার মধ্যে রয়েছেন মহারাষ্ট্রের দু’জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, একজন নামী অভিনেতা ও একজন পরিচালক। সূত্রের খবর, চিঙ্কু পাঠান নামের একজন মাদক ব্যবসায়ী নাকি মুম্বাইয়ের ফিল্ম সেটেও ড্রাগ বিক্রি করে থাকেন। এছাড়াও ইম্মা নামের আরও এক মাদক ব্যবসায়ীর নাম সামনে এসেছে। বান্দ্রা এলাকাটি নাকি তার জিম্মায় রয়েছে।
সোমবার (৩১ আগস্ট) ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইন্টিলিজেন্সের যৌথ ডিরেক্টরের সমীর ওয়াংখেড়েকে আগামী ৬ মাসের জন্য এই মামলার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, রিপাবলিকের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে এনসিবির ডিরেক্টর রাকেশ আস্তানা নিজে সম্প্রতি মুম্বাইয়ে এসেছিলেন এই মামলার খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখতে এবং গোটা বিষয়টির তদন্ত কোন পথে, কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে তার দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন তিনি নিজে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২০
ওএফবি