শিবসেনার সঙ্গে অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌতের সংঘাতের জেরে অযোধ্যায় আর স্বাগত জানানো হবে না মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে। এমনই ঘোষণা দিলো বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও মন্দিরনগরীর পূজারীরা।
অন্যদিকে, কঙ্গনাকে সমর্থন জানালেন অযোধ্যার হনুমানগড়ি মন্দিরের নাগা সন্ন্যাসীরা। গত বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) মুম্বাইয়ে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে কঙ্গনার অফিসের একাংশ ভেঙে দেয় বৃহন্মুম্বাই পৌরসভা। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের উদ্দেশ্যে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ ঝাড়েন অভিনেত্রী।
হনুমানগড়ি মন্দিরের পূজারী রাজু দাস বিএমসি’র পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, উদ্ধব ঠাকরে ও শিবসেনাকে আর অযোধ্যায় স্বাগত জানানো হবে না। এবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী অযোধ্যার সন্ন্যাসীদের কড়া বিরোধিতার মুখে পড়তে হচ্ছে। ’
তার অভিযোগ, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কালক্ষেপ করেনি মহারাষ্ট্র সরকার। অথচ এখনও পর্যন্ত পালঘরে খুন হওয়া দুই সাধুর আততায়ীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি মহারাষ্ট্র প্রশাসন।
এর আগে পালঘরের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানান নাগা সন্ন্যাসী ও দেশের ১৩টি মুখ্য হিন্দু মঠের নীতি নির্ণায়ক সংগঠন অখিল ভারতীয় অখণ্ড পরিষদের সদস্যরা।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আঞ্চলিক মুখপাত্র শরদ শর্মা জানিয়েছেন, কঙ্গনার বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। কোনও কারণ ছাড়া তাকে আক্রমণ এবং তার অফিস ভাঙচুর করার মতো পদক্ষেপ শিব সেনার থেকে প্রত্যাশিত নয়। জাতীয়তাবাদকে সমর্থন করা এবং মুম্বাইয়ের ড্রাগ মাফিয়াদের মুখোশ খুলে দেওয়ায় অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ক্রমাগত আক্রমণ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, অযোধ্যা সন্ত সমাজের প্রধান মোহন্ত কানহাইয়া দাস সমাজ-বিরোধীদের আড়াল করার অভিযোগ তুলে বলেন, ‘এখন আর উদ্ধব ঠাকরেকে স্বাগত জানাবে না অযোধ্যা। শিবসেনা কী কারণে কঙ্গনাকে আক্রমণ করছে, তা সবাই বুঝতে পেরেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০
ওএফবি