পাশাপাশি কেবিনে দু'জনের অবস্থান। কিন্তু একজন আরেক জনের কাছে যেতে পারছেন না।
গুরুতর অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফারুক। সঙ্গে রয়েছেন তার সহধর্মীনি ফারহানা ফারুক। চলমান মহামারির কারণে বাংলাদেশ থেকে সেখানে গিয়েই নিয়ম মেনে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়েছে তাদের।
তবে অপেক্ষার পালা শেষ হয়েছে, ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন এবং আরও একদিনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) তারা এখন একে অপরের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পেয়েছেন।
সিঙ্গাপুর থেকে ফারুক জানান, তার ২৯ বছরের বৈবাহিক জীবনে এমনটি আগে কখনো হয়নি। পাশাপাশি রুমে থেকেও তারা কাছাকাছি ছিলেন না।
ফারুক বলেন, আমি অসুস্থ অবস্থায় একা একটা রুমে রয়েছি, কিন্তু ফারহানা পাশের রুমে থেকেও আমার সঙ্গে দেখা করতে না পেরে খুব চিন্তিত। এমনটি আগে কখনো হয়নি, এভাবে থাকতে কষ্ট হয়েছে আমার। এমন পরিস্থিতি কারো জীবনে না ঘটলে কেউ বিষয়টি অনুভব করতে পারবেন না। এখন বেশ ভালো লাগছে। স্ত্রীকে পাশে পেয়ে মনোবল বেড়েছে।
এদিকে নানা শারীরিক পরীক্ষার পর ফারুকের রোগ চিহ্নিত করা গেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তার রক্তে টিবি রোগ ধরা পড়েছে। চিকিৎসক লাই চুংসহ চারজন বিশেষজ্ঞের অধীনে তার চিকিৎসা চলছে। আগামী ৪ সপ্তাহ তাদের পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে ফারুককে। তবে হাসপাতালে থাকতে হবে আরও দুই সপ্তাহ।
আরও পড়ুন> ফারুকের পাশের কেবিনে তাঁর স্ত্রী, তবুও সাক্ষাৎ নেই ৮ দিন
এদিকে ফারুকের দেখা পেয়ে তার স্ত্রী চিন্তামুক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া তিনি ফারুকের সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়াও চেয়েছেন।
প্রায় মাসখানেক জ্বরে ভোগার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৩ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে গিয়েছেন ফারুক। গত ১৮ আগস্ট প্রথম তীব্র জ্বর নিয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন ফারুক। এরপর আরও কয়েক দফায় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে শেষ পর্যন্ত দেশ থেকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যেতে হয় চলচ্চিত্রের 'মিয়া ভাই'খ্যাত এই অভিনেতাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
জেআইএম