খোদ ‘বলিউড কিং’ শাহরুখ খানের কন্যা সুহানা খানকে ‘কালো’, ‘কালি বিল্লি’ (কালো বিড়াল) ইত্যাদি বলে আক্রমণ করেছেন কেউ কেউ। এ নিয়ে যারপরনাই ক্ষুব্ধ সুহানা ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন সামাজিক মাধ্যমে।
গায়ের রং কালো বলে কতই না মানসিক হীনমন্যতা বা খোঁটার শিকার হন উপমহাদেশের নারীরা। ভারতবর্ষের মানুষের গায়ের রং স্বাভাবিকভাবেই কালো বা বাদামী। ভিনদেশের মানুষ হলে এক কথা, তাই বলে নিজ দেশের মানুষেরাই যদি কালো বলে গালি দেয়, সেটা হজম করা সত্যিই অসম্ভব হয়ে পড়েছে সুহানার পক্ষে।
বন্ধ হোক বর্ণ বিদ্বেষ। গায়ের রংয়ের জন্য 'কালা', 'কালি' বলে ডাকা বন্ধ করুন। গায়ের রং নিয়ে খোঁটা দেওয়া বন্ধ করা হোক বলে সরব হন সুহানা। নিজের ইনস্টাগ্রামে বর্ণ বিদ্বেষ নিয়ে লেখালেখি করেন তিনি। এরপরই সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ সুহানাকে সমর্থন করে তার পোস্টের প্রেক্ষিতে মন্তব্য করতে শুরু করেন।
তবে সুহানার ওই পোস্ট দেখে নেট জনতার একাংশ ক্ষিপ্তও হয়। তাদের দাবি, সুহানা খান যদি মানুষের বর্ণ বিদ্বেষের প্রবণতাকে বন্ধ করতে চান, তাহলে নিজের ঘর থেকেই তা শুরু করুন। তার বাবা শাহরুখ খানকে অনুসরণ করে দেশের যুব সমাজ। যুব সমাজের মুখ হয়ে শাহরুখ কীভাবে ফর্সা হওয়ার ক্রিমের প্রচার করেন! ফর্সা হওয়ার ক্রিমের বিজ্ঞাপনের সঙ্গে শাহরুখ কীভাবে যুক্ত হন বলে সুহানাকে প্রশ্ন করতে শুরু করেন অনেকে। কেউ আবার বলতে শুরু করেন, এতদিনে সুহানা বুঝতে পেরেছেন যে, গায়ের রং দিয়ে সুন্দর, অসুন্দরের বিচার করা যায় না। এই ধরনের ভণ্ডামি সুহানা খান বন্ধ করুন বলেও মন্তব্য করেন অনেকে। সবকিছু মিলিয়ে বর্ণ বিদ্বেষ প্রসঙ্গে সুহানা খানের পোস্ট নিয়ে নেটিজেনদের একাংশ শাহরুখ খানের বিরুদ্ধেও সুর চড়াতে শুরু করেন।
সম্প্রতি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন সুহানা খান। মাদক মামলায় যখন দীপিকা পাড়ুকোন, সারা আলী খান, শ্রদ্ধা কাপুর ও রাকুল প্রীত সিংদের পরপর সমন পাঠানো হয়, সেই সময় মুখ খোলেন শাহরুখ-কন্যা। পুরুষদের বাদ রেখে কেন বেছে বেছে শুধু অভিনেত্রীদের সমন পাঠানো হচ্ছে বলেও প্রশ্ন তোলেন সুহানা খান।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২০
এমকেআর