ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

শাহরুখকে রাখিবন্ধনে আসার আমন্ত্রণ মমতার 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২১
শাহরুখকে রাখিবন্ধনে আসার আমন্ত্রণ মমতার 

কলকাতা: পশ্চিমবাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসিডার বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় তাকে ভাইয়ের মতোই স্নেহ করেন।

২০১১ সাল থেকে দিদির আমন্ত্রণে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে উপস্থিত থাকেন কিং খান। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারেননি শাহরুখ। তাই মন খারাপ তার।

তবে কলকাতায় একমাত্র যাকে দিদি বলে সম্বোধন করেন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবারের আমন্ত্রণও উপেক্ষা করতে পারেননি তিনি। তাই ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে মুম্বই থেকে দুঃখপ্রকাশ করে শাহরুখ বললেন, মহামারি তাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে, পরিবারই জীবনের সবচেয়ে দামি। কলকাতা আমার পরিবার। পশ্চিমবঙ্গ আমার পরিবার। খুব তাড়াতাড়িই বাংলায় যাব।

পাশাপাশি বলেন, কলকাতায় এসে ‘দিদি’র সঙ্গে দেখা করব এবং অনেকটা সময় কাটাব। শাহরুখের মন্তব্যে স্বভাবতই আপ্লুত মমতাও। তাই ভাই শাহরুখকে রাখিবন্ধনে আসার আমন্ত্রণও জানিয়ে দিলেন চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী মঞ্চ থেকেই।

এবারে ২৬তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছোট করে হলেও ছবি প্রদর্শন নিয়ে কোনো রকম কার্পণ্য করা হয়নি। তবে এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের বদলে শুক্রবার অনুষ্ঠানের আসর বসেছিল রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্নর সভাঘরে।  

এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গোটা টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। পরিচালক গৌতম ঘোষ, রাজ চক্রবর্তী, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, রঞ্জিত মল্লিক, সাংসদ-অভিনেতা দেব,  কৌশিক সেন, অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়, সোহম চক্রবর্তী, শঙ্কর চক্রবর্তী এবং অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, ইন্দ্রাণী হালদারসহ অনেক বিশিষ্টজন।  

এছাড়া ছিলেন বলিউড পরিচালক অনুভব সিনহা। গোটা অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও জুন মালিয়া।

এছাড়া মমতার সাথে প্রদীপ প্রজ্বলনের সময় পাশে দেখা গেল শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, পায়েল সরকার, বিরসা দাশগুপ্ত, ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, মধুমিতা সরকার, সৌরসেনী মৈত্র, ঋতাভরী, সায়নী, পাওলি দাম, কাঞ্চন মল্লিক, বনি সেনগুপ্ত, কৌশানী, অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, হরনাথ চক্রবর্তীকে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা দেখতে হলে মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক। প্রত্যেকটা সিনেমা হলেই। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আদেশ, একটা শো শেষ হলেই গোটা সিনেমা হল স্প্রে করে স্যানিটাইজ করতে হবে।

এবারের চলচ্চিত্র উৎসবে ৮১টি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি, ৫০টি শর্ট ফিল্ম এবং তথ্যচিত্র দেখানো হবে। সব মিলিয়ে প্রায় ৪৫টি দেশের সিনেমা থাকছে এ উৎসবে। সরকারি মোট আটটি প্রেক্ষাগৃহ মিলিয়ে চলবে চলচ্চিত্র উৎসব।

বাংলাদেশ সময়: ০৭১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২১
ভিএস/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।