পরীমনিকাণ্ডে গ্রেফতার প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের সদস্যপদ স্থগিত করেছে সিনেমা ও টেলিভিশন নাটক সংশ্লিষ্ট আলাদা দুইটি সংগঠন। তার অপরাধ যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তাকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
সদস্যপদ স্থগিত করা সংগঠন দুইটি হচ্ছে নাট্যপ্রযোজকদের সংগঠন টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস্ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপ্যাব) ও বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাব।
টেলিপ্যাবের পক্ষ থেকে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাজু মুনতাসির। আর ফিল্ম ক্লাবের পক্ষ থেকে সভাপতি চিত্রনায়ক ওমর সানী সদস্যপদ স্থগিত হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন।
টেলিপ্যাব এক বিবৃতিতে বলে, ‘আমাদের একজন সদস্য বর্তমানে অত্যন্ত স্পর্শকাতর সুনির্দিষ্ট অভিযোগে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হয়েছেন। বিষয়টির জন্য টেলিপ্যাব বিব্রত এবং সংবিধানের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। টেলিপ্যাব কখনো কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না, সেই ধারাবাহিকতায় টেলিপ্যাব এর সংবিধান ১৩-এর খ এবং ছ অনুযায়ী তার (রাজ) বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণে আমরা বাধ্য হচ্ছি। কার্যনির্বাহী সদস্যদের সমর্থনে নজরুল ইসলাম রাজের প্রাথমিক সদস্যপদ সাময়িক ভাবে স্থগিত করা হলো। পরবর্তীতে যদি তিনি আদালত কর্তৃক নির্দোষ প্রমাণিত হন তাহলে তার সদস্য পদ পুনর্বহাল করা হবে, অন্যথায় স্থায়ীভাবে তিনি সদস্যপদ হারাবেন। ’
এদিকে ফিল্ম ক্লাবের সভাপতি ওমর সানী বলেন, ‘যেহেতু তিনি (রাজ) রাষ্ট্র পরিপন্থী কাজের জন্য গ্রেফতার হয়েছেন, তাই আমরা তার পদ স্থগিত করেছি। আমরা ভার্চ্যুয়াল মিটিং করে ক্লাবের অন্যদের মতামত নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রাজ সাজাপ্রাপ্ত হলে ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পদ হারাবেন। সে ক্ষেত্রে তার শূন্য আসনে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। ’
রাজ বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের সহযোগী সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
গত ০৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদসহ অন্যান্য মাদক উদ্ধার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এরপর প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বাসা থেকেও মাদক ও সিসার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। রাজের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের পর পর্নোগ্রাফি আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়। বর্তমানে পরীমনি ও রাজ দু’জনই চার দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২১
জেআইএম