ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

গানের পাখি সাবিনা ইয়াসমিনের ৬৭তম জন্মদিন

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১
গানের পাখি সাবিনা ইয়াসমিনের ৬৭তম জন্মদিন সাবিনা ইয়াসমিন

তিনি গানের পাখি, সুরের পদ্মাবতী। সুরেলা কণ্ঠের মূর্ছনায় ডুবিয়ে রাখেন শ্রোতাদের।

বলছি, প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের কথা। বাংলা সংগীতের এই জীবন্ত কিংবদন্তির জন্মদিন শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর)।  

১৯৫৪ সালের আজকের এই দিনে সাতক্ষীরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন সাবিনা ইয়াসমিন। তার বাবার নাম লুৎফর রহমান ও মা বেগম মৌলুদা খাতুন।  

মাত্র সাত বছর বয়সে স্টেজে গান শুরু করেন এই শিল্পী। এরপর প্রায় পাঁচ দশক ধরে বাংলা গানের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করে যাচ্ছেন তিনি। দেশের গানেই তার যে অবদান, তা দিয়েই বাংলার বুকে বেঁচে থাকবেন শত শত বছর।

জন্মদিন প্রসঙ্গে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘দিনটি বিশেষভাবে উদযাপনের কোনো ইচ্ছা নেই। সময়টা ঘরেই কাটাতে চাচ্ছি নিজের মতো করে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমিও সবার জন্য দোয়া করি আল্লাহ যেন সবাইকে ভালো রাখেন, সুস্থ রাখেন। ’

১৯৬২ সালে এহতেশাম পরিচালিত ‘নতুন সুর’ সিনেমাতে শিশুশিল্পী হিসেবে প্রথম গান গাওয়ার সুযোগ পান সাবিনা ইয়াসমিন। আর ১৯৬৭ সালে প্রথম প্লেব্যাক করেন আমজাদ হোসেন ও নুরুল হক বাচ্চু পরিচালিত ‘আগুন নিয়ে খেলা’ চলচ্চিত্রে। এরপর অসংখ্য সিনেমায় প্লেব্যাক করেছেন তিনি।  

১৯৭১ সালে নঈম গহরের লেখা ও আজাদ রহমানের সুরে সাবিনা ইয়াসমিনের ‘জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো’ গানটি গেয়েছিলেন। এই গানটি মুক্তিযোদ্ধাদের অসীম প্রেরণা জুগিয়েছিল।  

সাবিনা ইয়াসমিনের গাওয়া গানের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। তার জনপ্রিয় গানের তালিকায় রয়েছে- ‘একবার যেতে দে না’, ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘কতো সাধনায় এমন ভাগ্য মেলে’, ‘ও মাঝি নাও ছাইড়া দে’, ‘সুন্দর সুবর্ণ’, ‘এই মন তোমাকে দিলাম’, ‘মনেরই রঙে রাঙাবো’, ‘তুমি বড় ভাগ্যবতী’, ‘ও আমার রসিয়া বন্ধু রে’, ‘এই পৃথিবীর পরে’, ‘সেই রেললাইনের ধারে’, ‘আমার হৃদয়ের আয়না’, ‘তুমি যে আমার কবিতা’, ‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো’, ‘বাবা বলে গেলো’, ‘একি সোনার আলোয়’  ইত্যাদি।

সাবিনা ইয়াসমিন ১৯৭৫ সালে ‘সুজন সখী’ সিনেমাতে গান গাওয়ার জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে সর্বমোট ১৪ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পীর পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি। যা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ইতিহাসে অনন্য এক রেকর্ড।

এছাড়া কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বরেণ্য এই সঙ্গীতশিল্পী একুশে পদক, স্বাধীনতা পুরস্কার, ১৯৮৫ সালে গানের জন্য ভারত থেকে ‘ডক্টরেট’, উত্তম কুমার পুরস্কার, ৬ বার বাচসাস পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১২০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।