ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

হুমায়ূন পরিবারের শর্তে ‘পেন্সিলে আঁকা পরী’র নির্মাণ স্থগিত

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
হুমায়ূন পরিবারের শর্তে ‘পেন্সিলে আঁকা পরী’র নির্মাণ স্থগিত ‘পেন্সিলে আঁকা পরী’ উপন্যাসের প্রচ্ছদ ও অমিতাভ রেজা চৌধুরী

কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘পেন্সিলে আঁকা পরী’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণের জন্য সরকারি অনুদান পেয়েছিলেন অমিতাভ রেজা চৌধুরী। কিন্তু হঠাৎ এটি নির্মাণ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ‘আয়নাবাজি’খ্যাত নন্দিত এই নির্মাতা।

এরই মধ্যে সরকার থেকে অনুদানের প্রথম কিস্তি হিসেবে পাওয়া ১৮ লাখ টাকা সুদসহ ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন অমিতাভ রেজা।

এর কারণ হিসেবে তিনি জানান, হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী ও সন্তানদের সমন্বয়ে গঠিত ট্রাস্টি বোর্ড এই সিনেমার গল্পের জন্য বড় অঙ্কের অর্থ এবং সেসঙ্গে মুক্তির পর সিনেমার আয়ের অংশীদারিত্ব চাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাকে।

অমিতাভ রেজা চৌধুরী বলেন, হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী ও সন্তানদের সমন্বয়ে গঠিত একটি ট্রাস্টি বোর্ড স্যারের (হুমায়ূন আহমেদ) কোনো উপন্যাস বা অন্য কিছুর কপিরাইটসহ সার্বিক বিষয়গুলো দেখছে। তাদের শর্তের পরিমাণ ব্যয় এই মুহূর্তে বহন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ট্রাস্ট্রি বোর্ডের শর্ত নিয়েও আমার কোনো আপত্তি নেই। তবে মনে কষ্ট পেয়েছি, কারণ আমাকে সরকার ৬০ লাখ টাকা দিচ্ছে সিনেমাটি নির্মাণের জন্য। এখন সুন্দর করে সিনেমাটি বানাতে আমাকে সরকারের অর্থের সঙ্গে সমপরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। ফলে বোর্ডের শর্ত মেনে সিনেমাটি করতে পারছি না।

তিনি আরও বলেন, আমি শর্তগুলোর বিরোধিতা করছি না। নিশ্চয়ই স্যারের কর্মগুলোকে সঠিক সুরক্ষা দেওয়ার জন্যই নিয়মগুলো করা হয়েছে। তবে সেটি পালন করে এই সিনেমাটি বানাতে গেলে সিনেমাটা আর হবে না। বরং স্যারের গল্পের অবমাননা করা হবে বলে আমি এটি নির্মাণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

মূলত আরেক নন্দিত নির্মাতা আবু সাইয়িদ হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসটি থেকে সিনেমা নির্মাণের অনুমতি নিয়েছিলেন, পরে তার কাছ থেকে অনুমতি নেন অমিতাভ রেজা।  

পরিচালক জানান, ‘পেন্সিলে আঁকা পরী’ সিনেমাটি নির্মাণের জন্য তার ১০ বছরের প্রস্তুতি ছিল। চিত্রনাট্য তৈরিতেই লেগেছিল তিন বছর। আগে দুই দফা সরাসরি হুমায়ূন আহমেদের কাছ থেকে সিনেমাটি নির্মাণের জন্য অনুমোদনও নিয়েছেন। পেয়েছিলেন পরিবারের সাড়াও।

এরই মধ্যে অনুদানের অর্থ ফেরতের বিষয়টি অমিতাভ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছেন বলে জানিয়েছেন। গত আগস্টের শেষ সপ্তাহে প্রথম কিস্তির টাকা ফেরত দেওয়ার আবেদনও করেছেন। প্রথম কিস্তির ১৮ লাখ টাকার সঙ্গে জরিমানা হিসেবে ১৮ হাজার টাকা ফেরত দিতে হবে তাকে।

সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরের আওতায় মোট ৬০ লাখ টাকার অনুদান পেয়েছিলেন অমিতাভ রেজা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।