চীনের প্রথম সারির ধনকুবেরদের সারিতে উচ্চারিত হত জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঝাও ওয়েই’র নাম। এখন নিজের দেশেই অস্তিত্বহীন হয়ে গেছেন ঝাও।
চীনের নেটমাধ্যমে তার কোনও অ্যাকাউন্ট নেই। চীনে ইন্টারনেটে তার সম্পর্কে নেই কোনও তথ্য। এমনকি রাস্তায় রাস্তায় থাকা তার ছবিসহ বিজ্ঞাপনও রাতারাতি উধাও। কী কারণে রাতারাতি গায়েব করে দেওয়া হল ঝাওকে? কেনই বা গৃহহীন হতে হল এ অভিনেত্রীকে? এসব প্রশ্নের কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
ঝাওয়ের জন্ম আনহুইয়ের উহুতে। ১৯৯৩ সালে স্কুলে পড়া অবস্থায় পরিচালক হুয়াং শুকিন ‘এ সোল হন্টেড বাই পেন্টিং’ সিনেমার জন্য তাকে প্রস্তাব দেন। সেই থেকেই অভিনয় জীবন শুরু তার। তবে ১৯৯৭ সালে প্রযোজক শিয়াং ইয়াও-এর টিভি সিরিজ ‘মাই ফেয়ার প্রিন্সেস’-এ অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পান তিনি।
এক সময় চীনের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেত্রী হয়ে ওঠেন ঝাও। চীনের প্রথম সারির ধনকুবেরও ছিলেন তিনি। অভিনয়, প্রযোজনা ও পরিচালনার পাশাপাশি ঝাও একজন পপ গায়িকা এবং ব্যবসায়ীও।
২০০১ সাল থেকেই নানা বিতর্কে উঠে আসে ঝাওয়ের নাম। ২০০৪ সালে আরেক বিতর্ক শুরু হয় তাকে ঘিরে। যদিও এই বিতর্কের অভিযোগ সম্পন্ন মিথ্যা প্রমাণিত হয়। কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতা আর ফিরে পাননি ঝাও।
এরপর নানা ঘটনায় জড়িয়ে রাতারাতি সব হারিয়ে ফেলেন ঝাও। ২০২১ সালের ২৭ আগস্ট ঝাওয়ের অভিনীত সমস্ত সিনেমা এবং টেলিভিশন সিরিজ গায়েব হয়ে যায় ইন্টারনেট থেকে। মুছে ফেলা হয় ইন্টারনেটে তার সমস্ত তথ্য। শুধু নেটমাধ্যম থেকেই নয়, চীনে গৃহহীনও হতে হয়েছে তাকে।
জানা গেছে, বর্তমানে ঝাও এবং তার স্বামীর ফ্রান্সে নাকি একটি খামারবাড়ি রয়েছে। আপাতত সেখানেই বসবাস করছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১
এনএটি