ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

বিনোদন

সাড়া ফেলেছে ‘চন্দ্রাবতী কথা’

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২১
সাড়া ফেলেছে ‘চন্দ্রাবতী কথা’ ‘চন্দ্রাবতী কথা’র পোস্টার

মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই দর্শকদের ভালোবাসা পাচ্ছে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ম্যানগ্রোভ পিকচারস ও বেঙ্গল ক্রিয়েশনসের প্রযোজনায় ও বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের সহযোগিতায় নির্মিত সিনেমা ‘চন্দ্রাবতী কথা’।  

রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা সিটি, সীমান্ত সম্ভার, সনি স্কয়ার মিরপুর, এসকেএস টাওয়ার মহাখালী, যমুনা ব্লকবাস্টার ও সিনেস্কোপ নারায়ণগঞ্জে মুক্তি পেয়েছে।

‘চন্দ্রাবতী কথা’ দেখার পর দর্শকরা জানান, সিনেমাটির নির্মাণশৈলী, গল্প, অতীতের পটভূমি, নাটকীয় উপস্থাপনা সবকিছুই ছিল চিত্তাকর্ষক। এমন ভালো সিনেমা দেশে নিয়মিতভাবে তৈরি হলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সিনেমার মুখ উজ্জ্বল হবে। চন্দ্রাবতীর জীবনী দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে সিনেমাতে ওই সময়ের সামাজিক বিভিন্ন প্রেক্ষাপট, ঘটনা এবং পারফরমেন্স স্টাইলও উঠে এসেছে।  

সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়ার পর সেন্সর বোর্ড সিনেমাটি আটকে রাখে এক বছরেরও অধিক সময়। শেষ পর্যন্ত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কোনো ধরনের কর্তন ছাড়াই সেন্সর ছাড়পত্র পায় ‘চন্দ্রাবতী কথা’।

বাংলাদেশের প্রথম নারী কবি বলা হয় চন্দ্রাবতীকে। মলুয়া, দস্যু কেনারামের পালা এবং অসম্পূর্ণ রামায়ণ তার অন্যতম সৃষ্টি। তবে তার সৃষ্টির চেয়ে ঢের নাটকীয় এবং একই সঙ্গে বিয়োগান্তক তার নিজের জীবন। ষোড়শ শতকের অসম্ভব প্রতিভাবান ও সংগ্রামী এই নারীকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য এই সিনেমাটি।

যদিও সরকারি অনুদানে এটি নির্মিত, তবে সার্বিক নির্মাণের স্বার্থে ৩ বছর আগে এই সিনেমাটির সহযোগিতায় এগিয়ে আসে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস। বসুন্ধরা এলপি গ্যাস সবসময় সর্বপ্রকারে-এর কার্যক্রমের সঙ্গে থেকেছে এবং বিনিয়োগ করেছে।  

সুস্থ সিনেমা যেন সগৌরবে প্রেক্ষাগৃহে ফিরে আসে এবং সুস্থ ধারার দর্শকও যেন উপকৃত হন, সেই আশাতেই ‘চন্দ্রাবতী কথা’ সিনেমার সঙ্গে সম্পৃক্ততা এবং প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সবাই সিনেমাটি দেখলে, তবেই সবার শ্রম সার্থক হবে বলে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস কর্তৃপক্ষ থেকে জানা যায়।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীতে সিনেমাটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়। প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসিরুদ্দিন ইউসুফ এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্যচিত্র নির্মাতা মানজারে হাসিন মুরাদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২১
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।