গোপালগঞ্জ: বাঙ্গালী সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসেবে পরিচিত যাত্রাপালা। এক সময় শহর বা গ্রামে মানুষের চিত্তবিনোদনের মঞ্চস্থ হতো যাত্রাপালা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এই উৎসবের আয়োজন করে।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে গোপালগঞ্জ জেলা শহরের লেকপাড়ের মুক্তমঞ্চে এ যাত্রাপালা উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খানসহ সরকারী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ যাত্রাপালায় সদর উপজেলার সাতপাড় ইউনিয়নের অরণ্য অপেরার যাত্রা শিল্পীরা ‘মাধবী কেন বীরাঙ্গনা’ নামের যাত্রাপালা মঞ্চস্থ করেন। এতে ফুটে ওঠে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত কাহিনী, পাক হানাদারদের নির্যাতনসহ বিভিন্ন বিষয়।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, ‘বাঙ্গালীর প্রাণের উৎস স্থলের অনুষ্ঠান হলো যাত্রাপালা। দীর্ঘদিন অবহেলার কারণে সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে যাত্রাপালা হারিয়ে যাচ্ছিল। আমি মনে করি এ শিল্পটির পূন:জাগরণ দরকার। এ শিল্পের সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছেন তারা হারিয়ে যেতে বসেছিলেন। যাত্রাপালার চর্চার মাধ্যমে তারা আবার ফিরে আসবেন। আমি প্রত্যাশা করবো সমাজের সকল স্তরের মানুষের সহযোগিতায় আমাদের এই সংস্কৃতি ধরে রাখতে পারবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২১
এনএটি