কুমিল্লা: ‘বাংলাদেশে ব্যাঙ-কচ্ছপ চাষে আর্থিক সমৃদ্ধি, আত্মনির্ভরশীলতা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
‘ব্যাঙ পরিবেশ নির্মল রাখে। ব্যাঙ নিধন বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের নদীর মাছের ওজন কমছে, সাইজে ছোট হচ্ছে দিন দিন। তাই প্রাণিসম্পদের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। যে প্রাণী দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে, সেটির প্রতি যত্ন নিতে হবে। প্রাণীরা বাঁচলে পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক থাকবে। ’
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) নবম প্রাণিবিদ্যা অলিম্পিয়াড কুমিল্লা অঞ্চলের অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের মিলনায়তনে প্রাণিবিদ্যা অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভা শেষে প্রতিযোগিতা, ডকুমেন্টারি ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কুমিল্লা অঞ্চলের ছয়টি জেলা থেকে শতাধিক প্রতিযোগী অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. হামিদা খানম।
সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবু জাফর খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভিক্টোরিয়া কলেজ প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান অমিতাভ কুমার বাড়ৈ ও প্রাণিবিদ অনুকূল চন্দ্র দাস। অলিম্পিয়াডের সমন্বয়ক ছিলেন ড. মহিউদ্দিন মো. শাহজাহান ভূঁইয়া ও চাঁদপুর সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান শওকত ইকবাল ফারুকী।
কুমিল্লা অঞ্চলের প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. গোলাম মোস্তফা। রানার্স আপ একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রাশেদা আক্তার।
উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের কুলসুম আক্তার সামিরা।
রানার্স আপ হয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের
ফারিয়া জান্নাত ভূঁইয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
এসআই