ফরিদপুর: ফরিদপুরের মধুখালি উপজেলার গাড়াখোলায় একটি বাড়ি থেকে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে ২২টি বিষধর গোখরা সাপ। এ নিয়ে গত দুইদিনে একই উপজেলার বিভিন্নস্থান থেকে প্রায় একশ গোখরা সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, বুধবার (৯ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় ধরে মধুখালী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গাড়াখোলা মহল্লার মো. হাসান বিশ্বাসের বাড়ি থেকে সাপুড়ে ডেকে এনে বিষধর গোখরা সাপের এসব বাচ্চা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা ২২টি সাপের বাচ্চার মধ্যে সাতটি জীবন্ত ধরা হয়। বাকিগুলো মেরে ফেলে বাড়ির লোকেরা।
হাসান বিশ্বাসের বড় ছেলে সাগর বিশ্বাস বলেন, গত দুই দিন ধরে বাড়ির শোবার ঘরের বিভিন্নস্থানে কয়েকটি সাপের বাচ্চার দেখা যায়। এভাবে একে একে প্রায় ১৫টি গোখরা সাপের বাচ্চা দেখতে পেয়ে বাড়ির লোকজন সেগুলো মেরে ফেলে। পরে বুধবার সকালে সাপুড়ে ডেকে আনা হয়। তারা বাড়ির বিভিন্নস্থানে তল্লাশি চালিয়ে আরও সাতটি তাজা সাপের বাচ্চা উদ্ধার করে। তবে বড় মা সাপ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় বাড়ির সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
কামারখালী ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের সাপুড়িয়া রিয়াজ মিয়া বলেন, একটি গোখরা সাপ ৪২, ৩২ অথবা ২২টি করে ডিম পাড়ে এবং বাচ্চা হয়। খবর পেয়ে হাসান বিশ্বাসের বাড়ি থেকে সাতটি তাজা সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়। বাড়ির লোকজন আরও প্রায় ১৫টি সাপের বাচ্চা মেরে ফেলেছে। এগুলো বড় কোনো সাপের বাচ্চা। সেটি ধরা সম্ভব হয়নি।
রিয়াজ মিয়া বলেন, গত কয়েকদিন ধরে মধুখালী উপজেলার মিটাইন, কামারখালী ও বাগাট এলাকার বিভিন্ন বাড়ি থেকে প্রায় ৯৬টি বিষধর গোখরা সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো তার বাড়িতে নিয়ে পালন করছেন। রিয়াজ বলেন, বড় হলে এই সাপ দিয়ে খেলা দেখাবেন তিনি।
স্থানীয় ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মো. আনিসুর রহমান লিটন বলেন, খবর পেয়ে হাসান বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে দেখি খুব ভয়ংকর ব্যাপার। বাড়ির লোকজন আগে থেকে টের পেয়ে সাপুড়ে খবর দেয়। তারা এসে বিষধর গোখরা সাপের বাচ্চাগুলো উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সাপ ধরা দেখতে আশপাশের লোকজন ওই বাড়িতে ভিড় জমায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০২৩
আরএ