শিলিগুড়ি: পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের পাশে রবীন্দ্রনগরে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে একটা আস্ত ছাগল মারলো অজগর সাপ।
মঙ্গলবার রবীন্দ্রনগরে বাসীন্দা সাবিত্রী বর্মণ তার একটি পোষা ছাগল ঘরের সামনে বেঁধে রেখেছিলেন।
তিনি সেই অবস্থায় ছাগলটিকে টেনে অজগরের মুখ থেকে বার করে আনেন। ততক্ষণে ছাগলটি মারা গেছে।
জলপাইগুড়ির (উত্তর) বনবিভাগের রেঞ্জার শ্রীকান্ত ঘোষ জানিয়েছেন, সংরক্ষিত বনাঞ্চল হওয়ায় ক্ষতিপূরণ পাবেন ছাগলের মালিক সাবিত্রী বর্মণ। অজগরটি সুস্থ অবস্থায় জঙ্গলে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে বিশিষ্ট সর্প ও বেদিয়া গবেষক ড. রক্তিম দাশ বলেন, অজগর সাপের প্রজাতির মধ্যে নির্বিষ ও বোয়া গোত্রের সাপ। একে বিলুপ্তপ্রায় শ্রেণিতে রাখা হয়েছে। অজগর নিয়ে কুসংস্কার আছে এই সাপ নিঃশ্বাসে মানুষকে টেনে নিয়ে খেয়ে ফেলে। যা একদম সত্যিই নয়। এর নামের মধ্যে খাদ্যাভাসের কথা বলা আছে।
তিনি আরও বলেন, অজগর একটি সংস্কৃত শব্দ, যা পরে বাংলায় এসেছে। একে ইংরেজিতে বলা হয় ময়াল বা পাইথন। সংস্কৃত ভাষায় অজ মানে ছাগল আর গর মানে খাওয়া। পুরো বাক্যটি এক করলে হয় ছাগলকে যে খায়। যদি মানুষকে খেত তাহলে নর সংস্কৃত ভাষায় মানুষ, তাহলে নিশ্চই নাম হতো নরগর। তা তো হয়নি। এর খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে নামের মিল করা হয়েছে বলে অজগর।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৬ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর