ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ৩০ মে ২০২৫, ০২ জিলহজ ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

বিপন্ন প্রজাতির ‘লজ্জাবতী বানর’ উদ্ধার

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৩৪, মে ২৮, ২০২৫
বিপন্ন প্রজাতির ‘লজ্জাবতী বানর’ উদ্ধার উদ্ধার করা লজ্জাবতী বানর/ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: বিপন্ন প্রজাতির একটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন।

বুধবার (২৮ মে) সকালেই ঘটনাস্থলে গিয়ে সেই প্রাণীটিকে উদ্ধার করে দ্রুত বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল বলেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে আমার কাছে একটি ফোনকল আসে। আমাকে জানানো হয়, ১টায় হঠাৎ করে কুকুরের তীব্র ডাক শুরু হয়। কুকুরের এমন অস্বাভাবিক আচরণে এলাকাবাসীর মনে গরু চুরির আশঙ্কা দেখা দেয়। ফলে সবাই সজাগ হয়ে উঠেন এবং ঘর থেকে বের হয়ে আসেন। তারা দেখতে পান, একটি অজ্ঞাত প্রাণীকে ঘিরে কুকুরেরা ডাকছে ও উত্তেজিত আচরণ করছে। এলাকাবাসী প্রাণীটিকে আটক করার চেষ্টা করলে সে সময় প্রাণীটির আক্রমণ অর্থাৎ কামড়ের আহত হয়েছেন কয়েকজন।

তিনি বলেন, বুধবার সকালে আমি শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও লছনা এলাকায় গিয়ে নিশ্চিত হই যে এটি লজ্জাবতী বানর। পরবর্তীতে, লজ্জাবতী বানরটিকে শ্রীমঙ্গল বনবিভাগের রেঞ্জ কার্যালয়ের রেঞ্জ কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান বলেন, লজ্জাবতী বানরের ইংরেজি নাম Bangal Slow Loris এবং বৈজ্ঞানিক নাম Nycticebus bengalensis। এরা নিশাচর প্রাণী। তাই তাকে দিনের বেলায় খুব একটা দেখা যায় না। রাতের বেলাতেই এরা বন-জঙ্গলের ডালপালায় ঘোরাফেরা করে। খায় সব ধরনের ফল এবং কচি পাতা। গায়ের রং ধুসর। দেহ ঘন লোমে আবৃত। মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত এর উচ্চতা ৪০ সেন্টিমিটার। বৃহত্তর সিলেট, বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের লজ্জাবতী বানরদের বিচরণ রয়েছে।  

আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন), বাংলাদেশের লাল তালিকায় লজ্জাবতী বানর ‘বিপন্ন’ ক্যাটাগরিভুক্ত প্রাণী বলে জানান ড. কামরুল।
 
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।