ঢাকাঃ বাংলাদেশের প্রাণ নদী। কিন্তু দখলদার আর কল- কারখানার মালিকদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে ঢাকা শহরের প্রাণ বুড়িগঙ্গা নদী।
বুড়িগঙ্গার প্রাণ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা না করে সরকার নিজস্ব উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য রামপালের বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করছে। সরকারের কাছে আকুল আবেদন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে রামপাল বাদ দিয়ে বুড়িগঙ্গা বাঁচান।
যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা `ডট ওআরজি’র সমন্বয়কারী ওয়াহীদুল হক বাবলু বাংলানিউজকে একথা বলেন।
তিনি বলেন, “সরকার চাইলে যেকোনো সময়ে বুড়িগঙ্গাকে বাঁচাতে পারে, পরিবেশকে বাঁচাতে পারে। কিন্তু তা করবে না, অর্থের জন্য সরকার রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র করে পরিবেশের এমন ক্ষতি করছে, সুন্দরবনকে অস্তিত্বহীন করছে। ”
বুড়িগঙ্গার বাঁচানোর লক্ষ্যে শুক্রবার গ্রিন অ্যাকশন ফোরাম ও সবুজপাতা ডট কমের যৌথ আয়োজনে বুড়িগঙ্গা নদীর দুষিত পানিতে গণগোসলের আয়োজন করা হয়।
ময়লা পানিতে গোসল করে প্রতিবাদ প্রকাশ ও সকলকে সচেতন করতেই এই গণগোসলের মত এমন ভিন্নধর্মী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানায় গ্রিন অ্যাকশন ফোরাম।
এভারেস্ট জয়ী বাংলাদেশের প্রথম তরুণ মুসা ইব্রাহিম এই গণগোসলের কর্মসূচিতে যোগদান করেন। বুড়িগঙ্গা দূষণের প্রধান তিনটি কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কলকারখানার বর্জ্য, নদী দখল এবং সুয়ারেজের লাইন বন্ধ করতে হবে। এই তিনটির সঙ্গে সরকার এবং তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে।
স্যুয়ারেজের লাইন দিয়ে পয়বর্জ্য আগের মতোই নদীতে পড়ছে। আবার বুড়িগঙ্গা নদীর কয়েক শ` স্থানে সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ফেলে আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
মুসা আরও বলেন, “ঢাকার নদীগুলো আমাদের জীবন। এই জীবন বাঁচাতে গণগোসল প্রতিবাদের একটি ভাষা মাত্র। আন্দোলন আরও জোরালো করতে হবে, আজ না হোক পাঁচ বছর পরে কাজ শুরু করলেও আমাদের আন্দোলন সফল হবে। ”
ঢাকাবাসীকে এবং বুড়িগঙ্গাকে বাঁচাতে এরকম উদ্যোগ নিয়মিত নেয়া উচিৎ বলে মনে করেন এই এভারেস্ট বিজয়ী।
গণগোসল ও রেলিতে অন্যান্যের মধ্যে বুয়েটের পানি প্রকৌশল বিভাগের প্রধান সাব্বির মোস্তফা খান, অবস্কিউর ব্যান্ড সঙ্গীতের প্রধান শিল্পী সাঈদ হাসান টিপু, নাট্য ব্যক্তিত্ব স্বাধীন খসরু ও শাওন মাহমুদ, গ্রিন অ্যাকশন ফোরামের সমন্বয়ক শাহেদ আলম এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার অনেক সাংবাদিক এতে অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়ঃ ২৬৫০ ঘন্টা, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
এডিআর/কেএইচ/আরআইএস