ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

শাবিতে সাপ আলোকচিত্র প্রদর্শনী

সাব্বির আহমদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৩
শাবিতে সাপ আলোকচিত্র প্রদর্শনী

সিলেট: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অর্জুনতলায় বাসা বেঁধেছে সাপ। ছোঁবল মারতে উদ্যত কালনাগিনী, একের পর এক এগিয়ে আসছে দুধগোখরাসহ বিভিন্ন প্রজাতির সাপ।

ভয়ের কারণ নেই, সাপগুলো সর্পিল আকৃতির এক প্যান্ডেলের ছায়ায় ছবির ফ্রেমে আটকে আছে!

সাপগুলো মোটেও ভয়ংকর নয়। সিনেমা বা লোককথায় কালনাগিনী যত ভংয়কর বাস্তবে কিন্তু তা নয়। কালনাগিনী একটি নির্বিষ সাপ। শুধু কালনাগিনীই নয় বাংলাদেশের বেশিরভাগ সাপেরই বিষ নেই। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বরঞ্চ এসব সাপের রয়েছে বিশেষ প্রয়োজনীয়তা।

শাবিপ্রবিতে ৬ দিনব্যাপী সাপের আলোকচিত্র প্রদর্শনীর শুরুর দিন রোববার এসব সাপের বৈশিষ্ট ও প্রকৃতি দর্শকদের বুঝিয়ে দেন আয়োজক প্রকৃতি ও পরিবশে বিষয়ক সংগঠন ‘গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটি’।

বাংলাদেশ, ভারত ও আমেরিকার ‘সাপ’ গবেষক ও আলোকচিত্রীদের ক্যামেরায় ধরা পড়া সাপের আলোকচিত্র নিয়ে শাবিপ্রবিতে সকাল থেকে শুরু হয়েছে  ‘সাপ আলোকচিত্র প্রদর্শনী’। এর উদ্বোধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক আমিনুল হক ভূঁইয়া। ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ৬ দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জুনতলায় এই প্রদর্শনী চলবে।

দেশে প্রথমবারের মতো ‘সাপ আলোকচিত্র প্রদর্শনী’র মিডিয়া পার্টনার হিসেবে আছে দেশের শীর্ষ অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম।

সকালে অর্জুনতলায় গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রাফসান হোসাইনসহ আয়োজকরা সাপগুলোর পরিচয় তুলে ধরেন। বিষধর সাপ বলে অনেকেই যেসব সাপ মারতে উদ্যত হতেন আসলে সেসব সাপের কোন বিষ নেই। সাপ কখনোই মানুষের ক্ষতিসাধন করে না। উপরন্তু পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষায় অনন্য ভূমিকা রাখছে এই প্রাণীটি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই সচেতনতা থাকলেও বাংলাদেশে প্রাণীটি  ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রতিদিন মানুষ সাপ মারছে, গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যাচ্ছে অসংখ্য সাপ।

একটি জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের মানুষ দেশীয় ৮১ প্রজাতির সাপ দেখলেই মারতে উদ্যত হয়, যদিও প্রায় সবকটিরই বিষ নেই। এদের মধ্যে ঢোঁড়া সাপ, লাউডগা, দুধরাজ, কালনাগিনী, মাইট্টা সাপ, অজগর নিরীহ ও বিষহীন সাপ। কিন্তু সবচেয়ে বেশি মারা পড়ে এরা।

প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে সহযোগিতা করেছে ‘প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন’। বাংলানিউজের পাশাপাশি মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে বেসরকারি টিভি চ্যানেল ‘চ্যানেল আই’।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৩
এসএ/এমজেএফ/জেসিকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।