ঢাকা: দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের দারিদ্রের হার সর্বোচ্চ। জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই আবার খাদ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত।
খাদ্য অধিকার একটি মৌলিক মানবাধিকার। দান বা অনুগ্রহ নয় বরং মর্যাদার সঙ্গে সব মানুষের নিজেদের খাদ্যের সংস্থান করার সামর্থ অর্জনের নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে। আর এই নিশ্চয়তার জন্য ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের অধিকার সংরক্ষণে ভূমি ও জলাভূমি দখলের প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার যুব সমাজ।
‘অক্সফাম গ্রো’র সঙ্গে সংহতি রেখে দক্ষিণ এশিয়ার যুব ও পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ইয়ুথ অ্যানভায়রনমেন্ট সেফগার্ড (বি-ইয়েস) চট্টগ্রামের হালদা নদী পুনরুদ্ধার ও নদীটির দখল অবিলম্বে বন্ধের জোর দাবি রেখে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় হালদা নদী পাড়স্থ মদুনাঘাট এর কাছে উরকিরচর এলাকায় এক মানববন্ধন ও মুকাভিনয় বা মাইম শো প্রদর্শন করে।
মানববন্ধন ও মুকাভিনয়ের মাধ্যমে বি-ইয়েস’র কর্মীরা স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নেতাদের কাছে হালদার স্বাভাবিক পরিবেশ পুনরুদ্ধার করে জেলে ও কৃষকদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের জন্য জোর দাবি তুলে ধরেন।
এছাড়াও মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা যে দাবিগুলো তুলে ধরেন সেগুলো হলো-
. খাদ্য অধিকার বিষয়ে আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা।
. প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে যুক্ত করে সমন্বিত সামাজিক নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিন্ত করা।
. খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মসূচি প্রণয়নে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব অভিযোজনে প্রান্তিক কৃষকদের অগ্রাধিকার
. ভূমি ও জলে প্রান্তিক কৃষকের অধিকার প্রতিষ্ঠা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমাদের মতো দরিদ্র ও জনসংখ্যাবহুল দেশে জীবন ও জীবিকার প্রতি যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হয়েছে সেটা মোকাবেলা করার মতো যথেষ্ট সম্পদ ও সামর্থ আমাদের হাতে নেই।
`ইন্টারগর্ভমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ বা আইপিসিসি’র হিসেব অনুযায়ী আগামী একশ’ বছরে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা ১ মিটার বেড়ে যাবে। তাতে তলিয়ে যাবে বিশ্বের ফসলি জমির এক-তৃতীয়াংশ।
এরমধ্যে সর্বোচ্চ ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। আর সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক, জেলে, ভূমিহীন। তাই অনতিবিলম্বে এই প্রান্তিক মানুষের জীবনের নিরাপত্তা বিধানে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৩
এসএটি/আরকে