ঢাকা: কিউই পাখি। ক্রিকেট খেলার সুবাদে নামটি এখন বেশ পরিচিত আমাদের কাছে।
তাই পরিবেশ-জীববৈচিত্র্যের পাঠকদের জন্য আজকের আয়োজন কিউই পাখি নিয়ে।
বেশ অদ্ভুত দেখতে কিউই পাখি। প্রথমে দেখলে মনে হবে যেন মুরগির বাচ্চা। শুধু ঠোঁটটা একটু লম্বা। এই পাখিটির যোগাযোগ আছে পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাওয়া মোয়া গোত্রের সঙ্গে। বেশ ব্যতিক্রম একটি পাখি কিউই। দেখতে যেন ছোটখাট একটা ধূসররঙা পাথরের ঢিবি।
কিউই Apterygidae (অ্যাপ্টেরিজিডি) গোত্রের Apteryx (অ্যাপ্টেরিক্স) গণের অন্তর্গত। নিউজিল্যান্ডে গুটিকয়েক দ্বীপে এদের বাস। এরা নিশাচর পাখি। খাবারের সন্ধানে বের হয় সূর্যাস্তের পর। গায়ের রং ধূসর বাদামি। একদম গোড়ার দিকে থাকার বদলে ওদের নাসারন্ধ্র থাকে লম্বা নমনীয় ঠোঁটের অগ্রভাগে। আর সব পাখির পালকের মতো এদের পালকের গোড়ার দিকে লম্বা হাতলের মতো থাকে না এবং সেগুলো অনেক নরম ও চুলের মতো। পালকের জন্য এদের পাখা দেখতে পাওয়াই মুশকিল।
কিউই পাখির পাগুলো বেশ মোটা, মজবুত ও পেশিবহুল। প্রত্যেক পায়ের চার আঙুলে একটি করে বড় নখর আছে। ছোট ছোট চোখগুলো দিনের আলোতে খুব বেশি সুবিধা করতে পারে না। কানের বাইরের দিকটা বেশ বড় ও উন্নত। ঠোঁটের গোড়ার দিকটায় ছোট ছোট লোমের মতো থাকে।
কিউই পাখির বসবাস মূলত বনে। দিনে গর্ত বা কুঠুরির মধ্যে ঢুকে ঘুমিয়ে থাকে। আর পোকামাকড়, কীটপতঙ্গ, শুয়োপোকা ইত্যাদি খাবারের খোঁজে বের হয় রাতে।
প্রয়োজনে কিউইরা বেশ দ্রুত দৌড়াতে পারে। আর ফাঁদে পড়লে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে ওদের থাবা। গর্তের মধ্যে একটি বা দুটি ডিম পাড়ে কিউই। ডিমের রং সাদা। বাচ্চা ফোটানোর প্রক্রিয়াটা এদের বেশ দীর্ঘ। ৮০ দিন ধরে ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফোটায় সাধারণত পুরুষ কিউই পাখি। পর্যাপ্ত না থাকায় এদের প্রজাতি অনেকটাই হুমকির মুখে। নিউজিল্যান্ডে এদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জোর চেষ্টা চলছে।
বিচিত্র প্রাণী বৈচিত্র্যের দেশ নিউজিল্যান্ডের একটি ফলের নামও রয়েছে কিউই। ফলটিও আবার দেখতে কিউই পাখির মতো। ফলটি সুস্বাদুও বটে।
ক্রিকেট খেলার জন্যই বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করে নিউজিল্যান্ড। আর কিউই পাখি ক্রমে স্থান দখল করেছে দেশটির ব্রান্ড ইমেজ।
সূত্র: ইন্টারনেট
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৩
এএ/আরকে