শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার): দেশে নতুন প্রজাতির আরো একটি প্রজাপতির সন্ধান পাওয়া গেলো। নতুন এ প্রজাপতির নাম ‘স্প্যাঙ্গেল্ড প্লুশ-ব্লু’ (Spangled Plushblue), বৈজ্ঞানিক নাম Flos asoka।
বন্যপ্রাণী গবেষক ও আলোকচিত্রী তানিয়া খান নতুন এ প্রজাপতির সন্ধান পান।
বাংলানিউজকে তানিয়া খান বলেন, গত বছরের ২২ ডিসেম্বর মৌলভীবাজারের বর্ষীজোড়া ইকোপার্কে এ প্রজাপতির (স্প্যাঙ্গেল্ড প্লুশব্লু) দেখা পাই। সঙ্গে সঙ্গে দু’টি ছবি তুলি। তারপর নানান তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখতে পাই এটি আমাদের দেশে প্রথম রেকর্ড। এ প্রজাপতির ‘প্রথম আইডেন্টিফাই অথরিটি’ ব্যক্তির নাম ডি নিসবিল (De Niceville, ১৮৮৩)।
তিনি আরো বলেন, প্রখ্যাত গবেষক পিটার স্মিতাসেক (Peter Smetacek) এ প্রজাপতি সম্পর্কে ‘জার্নাল অব থ্রেডেন টেক্সা’ (Journal of Threatened Taxa) নামক আন্তর্জাতিক জার্নালে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। এখানে তিনি উল্লেখ করেন- ভারত এবং নেপালের পূর্ব দিক থেকে ধরে থাইল্যান্ড, হংকংয়ে এ প্রজাপতির বিস্তৃতি রয়েছে। এখন বাংলাদেশ পর্যন্ত এর বিস্তৃতি পাওয়া গেলো।
এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তানিয়া বলেন, নীলচে-বেগুনি দিকটা হলো ডানা খোলার দিক (আপার সাইড)। আর কালচে-সাদা দিকটা হলো ডানা বন্ধের (আন্ডার সাইড) দিক। এ প্রজাপতিটা মূলত গাছের ওপরের দিকে থাকে। তবে প্রয়োজনে নিচেও নেমে আসে। অন্য প্রজাপতি থেকে এ প্রজাপতি তুলনামূলকভাবে দ্রুতগতিতে উড়তে পারে।
বাংলা নামকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রজাপতি নিয়ে গবেষণার সুযোগ আমাদের দেশে তেমন একটা হয়নি বলা যায়। তাই সবগুলো প্রজাপতি বাংলা নামকরণ হয়নি। তবে এখন ধীরে ধীরে এ গবেষণার পরিধি বাড়ছে। কাজও শুরু হয়েছে আমাদের।
বসতবাড়ির ঝোপঝাড় সম্পর্কে তানিয়া খান বলেন, যে এলাকায় প্রজাপতিরা রয়েছে ধরে নিতে হবে সে এলাকার প্রাকৃতিক স্বাস্থ্য সুরক্ষিত আছে। পরিষ্কারের নামে আমাদের চারপাশের ঝোপঝাড়গুলোকে চিরতরে বিলীন করা হচ্ছে। ঝোপঝাড়ের অনেক লতাগুল্ম ও গাছেই নানা বর্ণের প্রজাপতিরা কিন্তু জন্মলাভ করে থাকে। তাই অযথা এবং অপ্রয়োজনীয়ভাবে আমাদের বসতবাড়ির ঝোপঝাড়গুলো কাটা কখনো উচিত নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৬
বিবিবি/জেডএস