বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ফুলছড়ি চা বাগান থেকে প্রাণিটিকে উদ্ধার করে দুপুরে শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ বন্যপ্রাণি সেবা ফাউন্ডেশনে নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ বন্যপ্রাণি সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব বাংলানিউজকে জানান, তিনি খবর পেয়ে ফুলছড়ি চা বাগানের টমাস নাপাকের বাড়ি থেকে আহত অবস্থায় প্রাণিটিকে উদ্ধার করে আনেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জাহানঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং বন্যপ্রাণি গবেষক ও লেখক ড. মনিরুল খান বাংলানিউজকে বলেন, ভারতীয় মোল মাটির নিচে থাকে। জীবনের বেশির ভাগ সময় তাদের মাটির নিচেই কাটে। গর্ত করে মাটির ভেতর দিয়েই চলাফেরা করে। এগুলোর চোখ একদম ‘বিন্দু’র মতো। এই চোখকে ‘নন ফাংসনালি’ বলা চলে।
চোখের খুব একটা ব্যবহার করে না এই প্রাণিটি। গন্ধ শুকে শুকে মাটির নিচে বিচরণ করে, জানান এই প্রাণিবিদ।
তিনি আরো জানান, ‘মোল’ আমাদের ভূ-উপরিভাগে বিচরণকারী ‘চিকা’র প্রজাতি।
ড. মনিরুল খান বলেন, ‘চিকাও কিন্তু চোখে কম দেখে এবং লম্বা নাক দিয়ে গন্ধ শুকে শুকে চলাফেরা করে।
মোল মাটির নিচের গাছের শেকড়, পোকামড়ক খেয়ে বাঁচে।
প্রাণীটি সুস্থ হয়ে উঠলে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে তাকে ছাড়া হবে বলে জানান সজল দেব।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৯ ঘন্টা, ৯ মার্চ ২০১৭
বিবিবি/এমএমকে