বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন উপ-প্রধান বন সংরক্ষণ ড. তপন কুমার দে শাবক তিনটির নামকরণ করেছেন। এর মধ্যে পুরুষ শাবকটির নাম বিজয় এবং মাদী শাবক দু’টির নাম মাধবী ও বিলাসী।
জন্ম নেওয়ার পর থেকে শাবকগুলো সুস্থ রয়েছে। শাবকগুলোকে আলাদা বেস্টনিতে মায়ের সঙ্গে রাখা হয়েছে।
পার্কের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক মো. আনিসুর রহমান জানান, ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহান্সবার্গ থেকে অপ্রাপ্ত অবস্থায় বেঙ্গল জাতের ৯টি বাঘ সাফারি পার্কে আনা হয়। সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাস বাঘগুলোর প্রজনন মৌসুম। এ জাতের বাঘগুলো সাধারণত চার থেকে সাড়ে চার বছর বয়সে যৌবনপ্রাপ্ত হয়।
গত ২৬ জানুয়ারি গর্ভবর্তী বাঘিনী সাফারি পার্কে তিনটি বাচ্চা প্রসব করে। বাচ্চা প্রসবের দেড় মাস আগে থেকে বাঘিনীকে আলাদা বেস্টনিতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। বাচ্চা প্রসবের প্রায় এক বছর পর্যন্ত তাদের অন্যদের কাছ থেকে আলাদা করে রাখা হয়।
তিনি জানান, বাঘ শাবক ৮/৯ সপ্তাহ পর্যন্ত কেবল মায়ের দুধ পান করে। এরপর থেকে মাংস খেতে দেওয়া হবে। কর্ডাটা পর্বের স্তন্যপায়ী শ্রেণীর এ জাতের বাঘের বৈজ্ঞানিক নাম প্যান্থেরা টাইগ্রিস। এদের দেহের রং হালকা কমলার মধ্যে কালো-খয়েরি ডোরা কাটা দাগ রয়েছে। একটি বেঙ্গল টাইগারের গর্জন প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার পর্যন্ত শোনা যায়।
একটি পুরুষ বাঘের গড় ওজন ২২১.২ কেজি এবং মাদীদের গড় ওজন ১৩৯.৭ কেজি। একটি বাঘ ২ থেকে ৫টি বাচ্চা প্রসব করতে পারে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের তত্ত্বাবধায়ক মো. সাহাবুদ্দিন জানান, বাঘিনী ও শাবক তিনটিকে অন্য বাঘ থেকে আলাদাভাবে রাখা হয়েছে। বাচ্চাগুলো মায়ের সঙ্গে সুস্থভাবে চলাফেরা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৭
আরএস/জেডএস