কয়েকদিন আগে নগরীর উপ-শহরে বানরটির কামড়ে শিশুসহ বেশ কয়েকজন লোক আহত হন। স্থানীয়দের অভিযোগে গত পাঁচদিন আগে বানরটি উদ্ধার করে নগরীর উপকণ্ঠে খাদিমনগর জাতীয় উদ্যানে ছেড়ে দেয় বন বিভাগের লোকজন।
কিন্তু সেখানেও অন্য বানরদের সঙ্গে মেলেনি বানরটি। বদলায়নি তার অভ্যাস। বরং বন থেকে লোকালয়ে বেরিয়ে পথচারীসহ বন বিভাগের লোকজনকে কামড়াতে থাকে।
বানরটিকে ধরতে গিয়ে আক্রান্ত হন খাদিমনগর জাতীয় উদ্যানের বন সংরক্ষক (ফরেস্ট অফিসার) মজিবুর রহমান। বানরটি তার আঙুল কামড়ে দেয়। পরে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে আসা দুই বিশেষজ্ঞ বানরটিকে অচেতন করে ধরে ফেলেন।
সিলেট বিভাগীয় বন সংরক্ষক আর এস এম মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বানরটিকে ধরতে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে ব্যর্থ হয়ে ট্রাঙ্কুলাইজের মাধ্যমে ধরা হয়। এরপর মাত্র ৪৫ মিনিটের মধ্যেই বানরটির জ্ঞান ফেরে। এ ক্ষেত্রে প্রথম কোনো পশুর ওপর ট্রাঙ্কুলাইজ করে তারা সফল হয়েছেন বলেন জানান তিনি।
এর আগে একইভাবে ট্রাঙ্কুলাইজের মাধ্যমে (ভারতের আসাম থেকে বানের পানিতে ভেসে আসা বুনো হাতি) বঙ্গবাহাদুরকে ধরলেও বাঁচানো যায়নি। কেননা বঙ্গবাহাদুর টানা বেশ কয়েকদিন পানিতে থেকে লিভার সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছিলো। এ কারণে ট্রাঙ্কুলাইজ করলে হাতিটি আর জ্ঞান ফিরে না পেয়ে মারা যায়।
এস এম মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, বানরটি কেন পাগলামি করছিলো, তার মস্তিস্কে সমস্যা রয়েছে কিনা, এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে রক্ত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্স বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৭
এনইউ/জিপি/এমজেএফ