বিরল প্রজাতির এই পাখি নবী সোলায়মান (আ.) এর পত্র বাহক ছিল বলে উল্লেখ আছে কুরআন ও তাওরাতে। প্রাচীন মিসরে পবিত্র পাখি হিসেবে পরিচিত ছিলো হুদহুদ।
বসবাসের জন্য মরুভূমি-লাগোয়া এলাকা ভারি পছন্দ তাদের। তবে নির্জন নদীর পাড়, আবাদি ও পতিত জমি, খোলা শুকনো মাঠেও বেশ বিচরণ মোহনচূড়ার।
ইতিহাসের পাখি হিসেবে পরিচিত হুদহুদ এর দুই প্রজাতির একটির বাস বাংলাদেশে। মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও আফ্রিকার মিসর, শাদ, মাদাগাস্কার আর ইউরোপের কিছু দেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতেও এ পাখিটিকে দেখা যায়। ইংরেজিতে একে হুপো বা হুপি বলে ডাকা হয়। পাখিটির বিকট আওয়াজের কারণেই এই নামকরণ।
২০১৪ সালে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এক ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়েছিলো হুদহুদ।
পরিযায়ী এ পাখি আকারে ছোট। ২৫ থেকে ৩২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা। উত্তেজিত হলে ঝুঁটি প্রসারিত করে তারা। বিভিন্ন ফল ছাড়াও কাস্তের মতো বাঁকা কালচে ঠোঁঠ মাঠের গর্তে ঢুকিয়ে পোকামাকড় বের করে খায়। নরম মাটিতে লুকিয়ে থাকা শুঁয়োপোকা, কেঁচো, ফড়িং, উইপোকা, ঝিঁঝিঁ পোকাসহ বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় খুব পছন্দ এদের। ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফেলে বলে ফসলের জন্য উপকারী পাখি মনে করা হয় হুদহুদকে।
হুদহুদের প্রজনন মৌসুম মার্চ থেকে জুন। বাসা বানিয়ে ডিম দেয় ৪-৫টি। স্ত্রী পাখি ডিমে ১৮-২০ দিন তা দিযে বাচ্চা ফোটায়। এমনিতে এরা পানিতেই গোসল করে আর সব পাখির মতো। কিন্তু পানি না পেলে গোসল সেরে নেয় ধুলোবালিতে হুটোপুটি খেয়েই। সংকলিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০১৭
জেডএম/