শনিবার (অক্টোবর ২৯) শেষ হওয়া ছয় দিনব্যাপী এ সম্মেলনে সংরক্ষণের তালিকায় শিম্পাঞ্জি, চিতা ও জিরাফকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ তালিকায় আরও রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ মাছ হোয়েল সার্ক বা তিমি হাঙর।
‘কনভেনশন অব মাইগ্রেটরি স্পেসিস’ শীর্ষক এ সম্মেলনে বিশ্বের ১২৯টি দেশের প্রায় এক হাজার জন প্রতিনিধি অংশ নেন। যেসব প্রচরণশীল প্রাণী এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করে, সেসব প্রাণী সুরক্ষার জন্য ভাবা হয়েছে। এতে ফিলিপাইনের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ হোয়েল সার্ক ও আফ্রিকার স্তন্যপায়ী প্রাণীরা প্রাধান্য পায়।
সম্মেলনের একজন নির্বাহী ব্র্যাডনি চ্যাম্বার বলেন, প্রাণীগুলোর সুরক্ষায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের দায়িত্ব নিতে হবে।
বক্তারা জিরাফ সংরক্ষণের বিষয়ে বিশেষ পদক্ষেপের আহ্বান জানান। বর্তমানে আফ্রিকা মহাদেশে জিরাফের সংখ্যা প্রায় নব্বই হাজার। ব্যবস্থা না নিলে অতি দ্রুত এ প্রাণী বিলুপ্তির আশংকা রয়েছে।
অপেক্ষাকৃত অপরিচিত প্রাণী গোবি বিয়ারও এ তালিকায় রয়েছে। মঙ্গোলিয়া ও চীনের গোবি মরুভূমির এ ভালুকের সংখ্যা বর্তমানে মাত্র ৪৫টি। তাছাড়া শকুনের দশটি প্রজাতি তালিকায় স্থান পেয়েছে।
সম্মেলনে চীনের কোনো প্রতিনিধির অংশগ্রহণ না থাকলেও, হাতির দাঁত কেনাবেচা নিষিদ্ধ ও রেস্টুরেন্টে বিপন্ন প্রাণী পরিবেশন রোধ করায় চীনের প্রশংসা করেন আয়োজকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৭
এনএইচটি/এএ