সোমবার (১১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস’ উপলক্ষে নাগরিক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
নাগরিক সংলাপের আয়োজন করে ‘বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব’।
হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘পরিবেশের ক্ষতি করে উন্নয়ন নয় পরিবেশ রক্ষা করে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। সারা বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এর প্রভাব উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রকট। পাহাড় ধস, ভূমি ধস হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট পর্বত ঝুঁকি থেকে বাঁচতে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে আন্তঃসম্পর্ক তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্ব জুড়ে বিভাজনের রাজনীতি চর্চা হচ্ছে। এর মধ্যে জলবায়ু ঝুঁকি রোধে আমাদেরকে আন্তঃসম্পর্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে হিমালয় পর্বতমালাও ঝুঁকির হুমকিতে রয়েছে। হিমালয়ের ঝুঁকি এড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে।
এভারেস্ট আরোহী এম এ মুহিত বলেন, একটা সময় পৃথিবীর ২০০ কোটি মানুষ হিমালয়ের উপর নির্ভরশীল ছিলো। তাদের জীবিকা নির্বাহের মাধ্যমে হিমালয় পর্বত। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হিমালয় পর্বতমালার অবস্থা ভালো নেই। হিমালয় পর্বত আগে সাদা ছিল। এখন আমরা তাকে কালো দেখছি। এজন্য পরিবেশ বিপর্যয়ই দায়ী।
টেকসই উন্নয়নের মানুষের আচরণে পরিবর্তন প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের টেকসই আন্দোলন চাইলে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। আমাদের নিজেদের আচরণ পরিবর্তন করতে হবে। আজ থেকে আমরা শপথ করবো আমাদের দ্বারা পরিবেশের যেন ক্ষতি না হয়।
সংলাপের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছবির হাট থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত একটি বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশে অধ্যয়নরত নেপালের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।
২০১৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১১ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক পর্বত-দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর থেকে বিশ্বের সবদেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয়।
নাগরিক সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন, নেপালি দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন ধন বহাদুর ওলি, এভারেস্ট আরোহী এমএ মুহিত, নিশাত মজুমদার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
এমসি/আরআই