ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

৭ বছরে সেরে উঠলো ভারতের শেষ ড্যান্সিং বিয়ার ‘রাজু’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
৭ বছরে সেরে উঠলো ভারতের শেষ ড্যান্সিং বিয়ার ‘রাজু’ ভারতের শেষ ড্যান্সিং বিয়ার ‘রাজু’

ঢাকা: সাত বছর নিবিড় পরিচর্যার পর অবশেষে সুস্থ হয়ে উঠেছে ভারতের শেষ ড্যান্সিং বিয়ার ‘রাজু’। ১৪ বছর বয়সী পুরুষ ভালুক রাজুকে ২০০৯ সালে ভারতের কর্ণাটক রাজ্য থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে রাখা হয় ব্যানাঘাটার বিয়ার রেসকিউ সেন্টারে। রাজুর পুরনো জীবনের ক্ষতগুলো এখন সেরে উঠেছে, এমনটাই জানান সেখানকার প্রাণী চিকিৎসকরা।

উদ্ধারের আগে রাজু কালান্দার সম্প্রদায়ের কাছে বন্দি জীবন কাটাচ্ছিল। কালান্দার কর্ণাটক রাজ্যের একটি যাযাবর সম্প্রদায়, যারা জীবিকার জন্য ভালুক পালন করতো।

রাজুকে কালান্দারদের বন্দিদশা থেকে উদ্ধারের পর প্রাণী চিকিৎসকরা রাজুর দেহে নির্যাতনের আলামত দেখতে পান। চিকিৎসকদের মতে রাজুকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য গরম লোহার সুচ দিয়ে খোঁচানো হতো এবং দড়ি দিয়ে তার মুখ বেঁধে রাখা হতো।

ওয়াইল্ড লাইফ এসওএস-এর একজন সদস্য সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বন্যপ্রাণীদের শারীরিক ক্ষত হয়তো দ্রুতই সেরে যায়, কিন্তু তাদের মানসিক আঘাত সারতে অনেক বেশি সময় দরকার হয়। দীর্ঘ সাত বছর পর এখন রাজুর আচরণ অনেকটাই স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে এসেছে। সে তার অতীতের কষ্টকর জীবন থেকে ধীরে ধীরে মানসিক মুক্তি লাভ করেছে।

ভারতের শেষ ড্যান্সিং বিয়ার ‘রাজু’জানা যায়, রাজুর সহজাত প্রবৃত্তি ফিরিয়ে আনতে উদ্ধারকর্মীরা স্বাস্থ্যকর খাবার সরবরাহ করেন এবং অন্য ভালুকদের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর জন্য তাকে ছেড়ে রাখা হয়।  

ড্যান্সিং বিয়ারের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ ১৯৭২ সালে বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইনের আওতায় নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার। কিন্তু এ আইন কার্যকর করতে ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কাছ থেকে ভালুকদের উদ্ধার করতে অনেক বছর লেগে যায়।

পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ‘ড্যান্সিং বিয়ার রিহ্যাবিলিটেশন প্রোজেক্টে’র অধীনে প্রাণী কল্যাণ সংস্থা ‘ওয়াইল্ডলাইফ এসওএস’ মোট ৬২৮টি ভালুক উদ্ধার করে। উদ্ধারকর্মীদের তথ্য অনুযায়ী রাজুই ছিল ভারতের শেষ ড্যান্সিং বিয়ার, যাকে উদ্ধার করা হয় ২০০৯ সালে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।