ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০০ রবিউস সানি ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

নতুন প্রজাতির লালচেবুক কাঠবিড়ালী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭
নতুন প্রজাতির লালচেবুক কাঠবিড়ালী লালচেবুক কাঠবিড়ালী। ছবি: বাংলানিউজ

জাবি: বাংলাদেশে মোট ১০ প্রজাতির কাঠবিড়ালী রয়েছে। তার মধ্যে সর্বশেষ পাওয়া কাঠবিড়ালীর নাম হলো ‘লালচেবুক কাঠবিড়ালী’। ২০১১ সালের মার্চ মাসে বান্দরবানের দুদপুকুরিয়া ধোপাছড়ি বন্যপ্রাণী অভরায়ণ্যতে এটি সর্বপ্রথম দেখা যায়।

আর এটি সর্বপ্রথম সনাক্ত করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো.কামরুল হাসান।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের উদ্যোগে ও আরণ্যক ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে আমরা ২০১১ সালে বান্দরবানের দুদপুকুরিয়া ধোপাছড়ি বন্যপ্রাণী অভরায়ণ্য পর্যাবেক্ষণ করতে গিয়েছিলাম।

মার্চের এক সকালে আমরা একটি ছড়া দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন একটি গাছে এই কাঠবিড়ালটিকে দেখে ছবি তুলি।

এই কাঠবিড়ালটির আচরণের সঙ্গে বাদামি রঙের কাঠবিড়ালীর আচরণে পার্থক্য দেখে মনে সন্দেহ তৈরি হয়। পরে ক্যাম্পাসে এসে বিভিন্ন বই ঘাটাঘাটি করে দেখি এটি একটি নতুন প্রজাতির কাঠবিড়াল।

একে ইংরেজিতে বলা হয় Pallass (পাল্লাস)। এই কাঠবিড়ালের বুক লালচে হওয়ায় সাধারণত একে ‘লালচেবুক কাঠবিড়ালী’ বলা হয়ে থাকে। এছাড়া এর লেজের দুই পাশ দিয়ে ধূসর রঙের দু’টি রেখা ওপরের দিকে উঠে গেছে। এরা মাঝারি আকারের হয়ে থাকে।

এরা সাধারণ বাদামি কাঠবিড়াল থেকে বেশি চঞ্চল হয়ে থাকে। এই কাঠবিড়ালকে চেনার অন্যতম উপায় হল কোনো বিপদে আক্রান্ত হলে বা ভয় পেলে সাধারণ বাদামি কাঠবিড়াল এক গাছ থেকে অন্যগাছে পালায় বা দ্রুত চলে যায়। কিন্তু লালচেবুক কাঠবিড়াল গাছ থেকে মাটিতে নেমে পালায় বা মাটিতে নেমে তারপর অন্য জায়গায় যায় বা অন্য গাছে ওঠে।

এরা সাধারণ পত্রভোজী প্রাণী। এরা ফল, ফলের বীজ, ফুল, পাতা, পোকামাকড়, গাছের বাকল ইত্যাদি খেয়ে থাকে।

এ প্রজাতির কাঠবিড়ালী সাধারণত ইন্ডিয়া, চীন, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস এবং বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রাম বন্যভূমিতে দেখা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ০১০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।