বুধবার (১১ এপ্রিল) থেকে ঢাকার একটি দল জাতীয় উদ্যানের ইন্টারপিটিশন সেন্টারের পূর্বপাশে ছয়টি সেগুন গাছে এ অ্যাডভেঞ্চার নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি ইন্টারপিটিশন সেন্টারে আকর্ষণীয় ডার্করুম তৈরির কাজও শুরু হয়েছে।
জাতীয় উদ্যানকে সাজাতে প্রতি বছরই নতুন নতুন রাইডস নির্মাণ করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে চলতি বছর ক্রেল প্রকল্পের সহায়তায় নির্মাণ করা হচ্ছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় রাইডস ট্রি অ্যাডভেঞ্চার।
ঢাকার রূপ-৪ নামে একটি অ্যাডভেঞ্চার গ্রুপ সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ‘ট্রি অ্যাডভেঞ্চার’ নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছে। তারা রশি, কাঠ, প্লাস্টিকসহ নানা সরঞ্জামে তৈরি করবে এ ট্রি অ্যাডভেঞ্চার। এতে ছয়টি বড় সেগুন গাছ নির্বাচন করা হয়েছে। প্রত্যেকটি গাছের ২০ ফুট ওপরে নেট দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিশেষ এ রাইডসটি।
এটি নির্মিত হলে উৎসুক এবং সৌখিনরা এক গাছ থেকে অন্য গাছে ভ্রমণ করতে পারবে। তবে এতে সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে টিকিটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রত্যেকে ১০০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে এ রাইডস চড়তে পারবেন।
এদিকে, ইন্টারপিটিশন সেন্টারটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার পর নতুন করে শুরু হয়েছে সাজানোর কাজ। এতে বনের সকল প্রকার প্রাণীর ছবি ও চিত্রকর্ম দিয়ে ডার্করুম তৈরি করা হচ্ছে। সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে বনের সকল প্রাণীর একটি বর্ণনা থাকবে। থাকবে সকল প্রাণীর ছবি সম্বলিত নানা ব্যানার ও ফেস্টুন। এটিতে বনের প্রাণীদের অবস্থান এবং তাদের চলাফেরা ও মুভমেন্টের বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা থাকবে। এখানে যে কোনো পর্যটক ভ্রমণ করে বনের চিত্রটা বুঝতে পারবেন।
ইতোমধ্যে ক্রেল প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উইনরক ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি সংগঠন এ অ্যাডভেঞ্চার এবং ইন্টারপিটিশনের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করছে।
এ বিষয়ে জাতীয় উদ্যানের সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, আগামী একমাসের মধ্যেই অ্যাডভেঞ্চার এবং ইন্টারপিটিশন সেন্টারের সকল কাজ সম্পন্ন হবে। এটি সম্পন্ন হলে সাতছড়িতে পর্যটকরা সম্পূর্ণ নতুন একটি বিনোদন পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৮
টিএ