শনিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে মতবিনিয়ম সভায় গবেষকরা এ কথা বলেন। তবে লাউয়াছড়ার গভীর বনে আরো অর্কিড থাকতে পারে বলেও জানানো হয়।
অর্কিড সোসাইটি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান নাসিম ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, দেশের বিভিন্ন বনাঞ্চলে প্রায় ৭শ’ প্রজাতির অর্কিডের কথা উল্লেখ থাকলেও আমরা ১৩০টি অর্কিড পেয়েছি। আমরা জানি যে, সিলেটে প্রচুর পরিমাণে অর্কিড রয়েছে। তবে আমরা ৭/৮টি অর্কিডের বেশি পাইনি। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ২০ প্রজাতির মধ্য থেকে দুই দিনের ভ্রমণে আমরা পেয়েছি মাত্র ৪টি।
অর্কিড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অর্কিড পরিবেশের জন্য খু্বই উপযোগী। আমাদের বনাঞ্চলগুলোর বৃক্ষনিধনসহ আগত পর্যটকের কেউ কেউ ভালোলাগাবশত অর্কিড ফুলটি ছিঁড়ে বা নিজের সংগ্রহের অর্কিড নিতে গিয়ে অর্কিডের শেকড়সহ তুলে অর্কিডের অস্তিত্ব নির্মূল করে ফেলছেন। সিলেট, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের পাহাড়ি অঞ্চলে অর্কিড পাওয়া যায়।
পৃথিবীর সব জায়গায় অর্কিড ভালোবাসা, বিলাসিতা ও সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে। বাংলাদেশের যে বনাঞ্চলগুলোতে অর্কিডের সংখ্যা বেশি সেখানে একটি অর্কিড-সংগ্রহশালা গড়ে তোলা প্রয়োজন বলে জানান অর্কিড গবেষকরা।
এ মতবিনিয়ম সভায় উপস্থিত ছিলেন অর্ডিট সোসাইটি অব বাংলাদেশের সদস্য ও ফুল গবেষক আবু জাফর সামসুদ্দিন, ডা. ফাইজা ইলা কামাল, সালমা বিনতে নূর প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৮
বিবিবি/এমজেএফ