ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

নিমের কোনো ইংরেজি নাম নেই!

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৭ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৮
নিমের কোনো ইংরেজি নাম নেই! নিম ফুলে সৌন্দর্য। ছবি: ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন  

‘একদিন নিমফুলের গন্ধ অন্ধকার ঘরে নিয়ে এলো অনির্বচনীয়ের আমন্ত্রণ...’ এভাবেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার লেখনিতে নিমফুল-কে আগন্তুক অতিথির সূত্রপাত হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।

ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফুল। এর একেকটি ফুলে পাঁচটি পাপড়ি আকাশের দিকে চেয়ে আছে।

গাছের মগডালে বা পাতায় পাতায় সৌন্দর্য ছড়িয়ে রয় নিমফুল। যার সৌন্দর্য আমাদের অনেকেই অদেখা। চোখের নাগালে ফুটে না বলে আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়। নিম গাছের আবার ইংরেজি নাম নেই। বৈজ্ঞানিক নামেই পৃথিবীবাসী তাকে চিনে নেয়।
 
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রকৃতি-বিষয়ক আলোকচিত্রী ড. নওয়াজেশ আহমেদ তার একটি প্রবন্ধে নিম সম্পর্কে বলেছেন, নিমের ছাল, পাতা, ফল এবং তেলে আছে প্রচুর পরিমাণে তিক্ত পদার্থ স্যাপেনিন, অ্যালকালয়েডস্। যেমন- নিমবিন, নিমবেসিটিন। আর তেলে আছে মারগোসিক এসিড। বহু রকমের জীবণুনাশক এবং বিষনাশক এই মহামূল্যবান নিম।
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন বাংলানিউজকে নিম সম্পর্কে বলেন, নিমের কোনো ইংলিশ নাম নেই। সারা পৃথিবীতে নিম গাছটিকে ‘নিম’ নামেই চেনে। এর ইংরেজি নামই হলো ‘Neem’। এর বৈজ্ঞানিক নাম AZADIRACHTA INDICA
 
তিনি আরো বলেন, ‘নিম গাছ তো আমরা আমাদের ফরেস্টে লাগাই। তবে এখন এ গাছটি লাগানোর আগ্রহও কমে গেছে বলতে পারেন। এটার গুরুত্ব অনেকেই বুঝে না। ’
 
আক্ষেপের সঙ্গে মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন বলেন, ‘তবে আশ্চর্যের কথা হলো- এর মধ্যে এতো ওষুধীগুণসম্পন্ন থাকা সত্ত্বেও এর গুরুত্ব মনে হয় আমরা জাতিকে বুঝতে ব্যর্থ হয়েছি। আমাদের দেশের জনগণ এর গুরুত্ব জানে না। জানলে প্রকৃত বাড়িতে নিমগাছ থাকতো। আর এই গাছ বাড়িতে থাকার অর্থ বাড়ির পরিবেশ সুস্থ রেখে বিভিন্ন রোগ-জীবণু দূর করে। ’
 
তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিটি বসত বাড়িতে অনন্ত একটি করে নিমগাছ লাগানো উচিত। কারণ নিম এতো গুরুত্বপূর্ণ যে একে সব রোগের মহাওষুধ বলতে পারেন। ’
 
নিমের ফুলগুলো ছোট্ট সুন্দর তবে ক্ষণস্থায়ী। নিম গাছ সাধারণত বড় গাছ হয়ে থাকে এবং গাছের উপরে ফুল ফোটে বলে আমাদের চোখ এড়িয়ে যায় ফুলগুলো বলে জানান অধ্যাপক  ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৮
বিবিবি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।