চিড়িয়াখানার একজন প্রাণী চিকিৎসক জোসেফ এজভেড্জ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, শাবকটি এখন হাঁটতে-চলতে পারে। আমাদের হিসাব মতে, এর আগে কোনো আমেরিকান সাদা বাইসন ইউরোপে জন্মায়নি।
জানা যায়, দুসান্কার বাবা ইয়োভানও সাদা বাইসন। তাকে ২০০৭ সালে আমেরিকা থেকে ইউরোপে আনা হয়। মা অন্য প্রজাতির বাইসন হলেও দুসান্কা পেয়েছে বাবার জিনগত বৈশিষ্ট্য।
সাদা বাইসন সম্পর্কে আমেরিকায় প্রাচীনকাল থেকে অনেক রকম লোককথা প্রচলিত। নেটিভ আমেরিকানরা মনে করে, সাদা বাইসন হলো শুভকামনা ও প্রত্যাশার প্রতীক।
১৯৯৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের উইনকনসিনে একটি সাদা বাইসনের জন্মালে, হাজার হাজার আমেরিকান আদিবাসী আনন্দ উদযাপনে অংশ নেন।
এজভেডজ বলেন, সাদা বাইসনের জন্ম নেটিভ আমেরিকান মিথলজির একটি অতি তাৎপর্যময় ঘটনা। আমাদের উচিত, দুসান্কার জন্মের খবরটি আমেরিকান আদিবাসীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
উত্তর আমেরিকার সর্ববৃহৎ স্তন্যপায়ী বাইসন। আমেরিকা ও ইউরোপের কিছু কিছু অঞ্চলে এদের বসবাস। মার্চ থেমে মে মাসের মধ্যে এরা বাচ্চা জন্ম দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৫ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৮
এনএইচটি/এএ