আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন), বাংলাদেশ (২০০০) এর ‘লাল তালিকা’ অনুযায়ী এই কাজুলি প্রজাতির মাছটি বাংলাদেশে এখনও হুমকির সম্মুখীন নয়, তবে এরা প্রায় বিপদগ্রস্ত।
কুলাউড়া উপজেলা মৎস্য অফিসার সুলতান মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, এই কাজুলি মাছের অপর একটি নাম হলো বাঁশপাতা।
এর শারীরিক বর্ণনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ মাছটির দেহ লম্বা এবং দুইপাশ থেকে বেশ চাপা। আন্তঃঅক্ষিকোটর চোখের ১ দশমিক ৭ থেকে ২ গুণ। মুখ কিছুটা অবনত। মুখের হা চোখের সামনে অর্ধপথ পর্যন্ত পৌঁছে। বার্বেল চারজোড়া, সুগঠিত। দাঁত ভিলিফর্ম, মুখের চোয়ালে সরু সারিতে সাজানো। তন্তুময় পৃষ্ঠপাখনা অনুপস্থিত। ’
‘এদের দেহ রূপালি রঙের। পায়ু ও পুচ্ছপাখনার গোঁড়া হলদে। মেদ পৃষ্ঠীয় পাখনা ছোট, পায়ু পাখনার শেষ-ষষ্ঠাংশের সমান্তলার অবস্থান থেকে উৎপত্তি হয়। বক্ষপাখনার স্পাইন সরু, ভেতরের দিকের কিনারা মসৃণভাবে খাঁজানো। শ্রোণি পাখনা ছোট। পায়ু পাখনায় পাখনা-রশ্মি ৫৮-৭১টি। পুচ্ছপাখনা দ্বি-বিভক্ত ও নিচের অংশ দীর্ঘতর’।
এর প্রাপ্তি সম্পর্কে মৎস্য অফিসার সুলতান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের নদী ও সংযুক্ত খালে এদের পাওয়া যায়। মাছটি ঝাঁকে চলে। বর্ষা মৌসুমে অগভীর জলে এরা প্রজনন করে। মাছটির সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ৩০ সেন্টিমিটার হলেও সচরাচর ১৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পাওয়া যায়। বাংলাদেশ ছাড়াও এটি ভারত, পাকিস্তানে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৮
বিবিবি/এনএইচটি