বাংলানিউজের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত কথোপকথনে এ কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
‘তাহলে কি আমরা বৃক্ষরোপণ করবো না? অবশ্যই করবো।
তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি ৩০ লাখ শহীদ স্মরণে দেশব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩০ লাখ গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে, বিষয়টিকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু গাছ লাগানোর আগে কোন প্রজাতির গাছ লাগাবেন? গাছটি কি দেশি না বিদেশি? এ বিষয়গুলো অবশ্যই চিন্তা করতে হবে।
‘আমাদের এনভায়রনমেন্ট, বায়োডায়াভার্সিটি বা ওয়াইল্ডলাইফের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে কি-না এ বিষয়গুলো চিন্তা করে যথার্থ প্রজাতি সিলেকশনের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ করা হলে তা সবচেয়ে ভালো হতো। ’
তিনি আরো বলেন, ‘আজকের আমাদের বায়োডায়াভার্সিটি কমে গেছে। এর কারণ হচ্ছে যখন প্লেন্টেশন করা হয়েছিল তখন দেশি প্রজাতির গাছের বিপরীতে লাগানো হয়েছিল বিদেশি গাছ। সেগুলো কোনো ফল ধরে না, তাই সেগুলো থেকে আমাদের দেশের পশুপাখি খাবারও কোনো সুযোগ নেই। শুধুমাত্র প্রকৃতিকে সবুজ করতে এবং সেখান থেকে প্রয়োজনীয় কাঠ আহরণ করতে সময়ে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছিল। যেমন আকাশমণির কথাই ধরা যায়। এই প্রজাতির গাছগুলো আমাদের প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের জন্য কখনোই উপকারী নয়।
সুদূর পরিকল্পনা, বিশেষজ্ঞের মতামত, স্থান-কাল-পাত্র এই বিষয়গুলো বৃক্ষরোপণের ক্ষেত্রে অতীব জরুরি বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৮
বিবিবি/জেডএস