এ দৃশ্যের দেখা পাওয়া যায় শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে। সম্প্রতি সেখানে গিয়ে দেখা গেল, ভিন্ন প্রজাতির এ দুই প্রাণীর গলায় গলায় ভাব।
বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব বাংলানিউজকে বলেন, এটি একটি বিরল ঘটনা বলা যায়। কারণ তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী একজন অপরজনকে সহ্য করার কথা নয়। কিন্তু এখানে এর উল্টোটা ঘটেছে। এরা প্রায় চার-পাঁচ মাস ধরে এমন আছে।
এদের খাবার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গুইসাপকে হাঁস, মুরগি এবং কোয়েল পাখির ডিম খেতে দেওয়া হয়। আর অজগর সাপকে দেওয়া হয় মুরগি-হাঁস প্রভৃতি। কেউ কারো খাবারে ভাগ বসায় না।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে প্রখ্যাত বন্যপ্রাণী গবেষক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যায়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনিরুল এইচ খান বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টির ব্যাখ্যা এরকম যে, বন্দি অবস্থায় একসঙ্গে থাকতে থাকতে তাদের মধ্যে একটা আন্ডারস্ট্যাডিং হয়ে যায়। যেমন লক্ষ্য করে থাকবেন, বাড়ির কুকুর-বেড়ালগুলোর ক্ষেত্রে এরকম দেখা যায়। এরা একে অপরের প্রতি আক্রমণাত্মক হয় না। কিন্তু বাইরে থেকে অন্য কুকুর-বেড়াল এলে তখন এরা ধেয়ে যায়। কিন্তু বাড়ির কুকুর-বেড়ালদের মধ্যে একটা বোঝাপড়া রয়েছে।
আরেকটি ব্যাপার হলো, বন্দি অবস্থায় তারা পর্যাপ্ত খাবার পায়। ফলে বুনো অবস্থায় ক্ষুধা থেকে যে খাদ্য সংগ্রহ করা বা শিকারের স্পৃহা সেটা তাদের মধ্যে জেগে ওঠে না বা তাদের তাড়িত করে না, তাই তারা একে অপরের প্রতি হিংসাত্মক অবস্থানে যায় না বলে জানান অধ্যাপক ড. মনিরুল এইচ খান।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৮
বিবিবি/আরএ