‘ড্রাগন ফুল’ ও ‘ড্রাগন ফল’ দেখতে অনেকটা নাইটকুইন ফুলের মতো। অপূর্ব সৌন্দর্য ছড়িয়ে ঝুলে থাকে।
ড্রাগন ফলের গাছ ক্যাকটাস গোত্রের। এর কোনো পাতা নেই। দেখতে অনেকটা ক্যাকটাসের মতোই মনে হয়। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বাউ জার্মপ্লাজম সেন্টার বাংলাদেশে এই ফলটি প্রবর্তন করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, এর ইংরেজি নাম Dragon Fruit এবং বৈজ্ঞানিক নাম Hylocereus। এই ‘হাইলোসেরাস’ জেনাসের অন্তর্ভুক্ত ৩ ধরনের প্রজাতি রয়েছে। একটি লাল, সাদা এবং অপরটি হলুদ। এই ছবিগুলো লাল ড্রাগন ফল।
এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ড্রাগন ফল পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। কার্বহাইড্রেড প্রচুর। প্রায় শতকরা ৮২ ভাগ। ডাইটেরিফাইবার, সুগার, ভিটামিন-সি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং সোডিয়াম রয়েছে। মিষ্টি থেকে একটু পৃথক ধরনের একটি স্বাদ রয়েছে। তবে তাকে মিষ্টিই বলা চলে। এর বীজটা ছোট ছোট কালো দানার মতো হয়ে থাকে।
এটি ক্যাকটাস পরিবারের উদ্ভিদ। এই বৃক্ষটি আমেরিকান অরিজিনভুক্ত। এটি সাউথইস্ট এশিয়ার ফ্লরিডা, ক্যারাবিয়া, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, চীনসহ প্রভৃতি দেশে ব্যাপক চাষ হয়।
জসীম উদ্দিন বলেন, বাকৃবির জার্মপ্লাজম সেন্টার থেকে এই ছবিগুলো তুলেছি আমি। ওখানে এই ফলটি চাষ হচ্ছে। বিতরণ ও বিক্রি করছে। প্রতিটি চারার মূল্য ১০০ টাকা। বাংলাদেশে এই ফলের চাষ কোথাও কোথাও শুরু হয়েছে। উত্তরবঙ্গসহ, যশোর, কুমিল্লা প্রভৃতি এলাকায় এই ফলটি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করা হচ্ছে।
ড্রাগন ফুল মূলত বর্ষা মৌসুমের ফল। তবে এখন শরৎকালেও পাওয়া যায়। বৃক্ষ বিলাশীরা নিজেদের ছাদ ও বাগানেও এই ফলটি সযত্নে চাষ করে থাকেন বলে জানান উদ্ভিদ-গবেষক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
বিবিবি/আরবি/