চা বাগানে শিমুলের চারপাশের রূপ অন্য রকম। এখানে রয়েছে চা গাছের সবুজ সমারোহ।
দূরে থেকে দেখলে মনে হয়- ঘন সবুজের মাঝে গাছজুড়ে বিন্দু বিন্দু লাল রঙের ছড়াছড়ি। শিমুলের ইংরেজি নাম Red Silk-Cotton বা Red Cotton Tree। এর বৈজ্ঞানিক নাম Bombax Ceiba।
বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে শ্রীমঙ্গলের চা শিল্পাঞ্চল ভাড়াউড়া চা বাগানে গিয়ে দেখা গেলো- শিমুল গাছে তখন প্রাকৃতিক বসন্ত উৎসব শুরু হয়ে গেছে। এক গাছে শত শত পাখি। কিচিরমিচির ধ্বনিতে ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে ব্যস্ত তারা। মধু খেতে আসা পাখিদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে সরীসৃপ প্রাণী কাঠবিড়ালিও। কে কার আগে পলাশ ফুলের মধু গ্রহণ করবে, এ নিয়ে তাদের মাঝে সব সময়ই চলে প্রতিযোগিতা।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং শ্রমিক নেতা বিজয় হাজরা বাংলানিউজকে বলেন, চা বাগানগুলোতে আগের মতো শিমুল গাছ নেই। এ সময় চা বাগানে ব্যাপক শিমুল গাছ দেখা যেতো। সময়ের বিবর্তনে এগুলো আজ হারাতে বসেছে। শিমুলের ডাল কেটে বসতবাড়িতে বেড়া দিলে অনেক সময় দেখা যেতো - সেই বেড়ার মধ্যে শিমুল পাতা গজিয়েছে। এতোটাই শক্তিশালী উদ্ভিদ শিমুল।
তিনি বলেন, শিমুল গাছ থেকে শুধু উন্নতমানের তুলাই নয়, বহু পাখির আশ্রয় এবং খাবারের শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে এটি। এর ফুল ফুটলে শালিক, বুলবুলি, টিয়াসহ নাম না জানা শত শত পাখি ছুটে আসে। আর এর ফুলগুলো এতো সুন্দর যে, চেয়ে থাকতে ইচ্ছে হয়।
পাখিদের বেঁচে থাকার নিশ্চয়তার লক্ষ্যে শিমুল গাছ সংরক্ষণ এবং এর সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন বলে জানান বিজয় হাজরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯
বিবিবি/টিএ