ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

প্রথম সপ্তাহ শেষে কপ-১৭

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১১
প্রথম সপ্তাহ শেষে কপ-১৭

ডারবান থেকে: দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের শীর্ষ জলবায়ু সম্মেলনের প্রথম সপ্তাহের অধিবেশন শনিবার শেষ হয়েছে। আনুষ্ঠানিক আলোচনা সোমবার থেকে আবার শুরু হবে।

বাংলাদেশের পরিবেশ ও বন মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ সহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ১৩০ জন মন্ত্রী জলবায়ু বিষয়ক কনভেনশানে যোগ দিচ্ছেন। ইউএনএফসিসিসির নির্বাহী সেক্রেটারি ক্রিস্টিনা ফিগুইরা জানান, ‘এবারের সম্মেলনে নরওয়ে, ফিজি, হন্ডুরাস, সামাও, নাওরু, সেনেগাল, কংগো, ইথিওপিয়া সহ ১২ দেশের প্রধানরাও অংশ নিচ্ছেন।

২০০৯ সালে কোপেনহেগেনের মত ডারবানেও একটি অ্যাকোর্ড আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে আলোচনার টেবিলে একমাত্র আইনগত বাধ্যবাধকতা চুক্তি কিয়োটো প্রটোকলের ভবিষ্যত, গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড সহ এই দশকের মধ্যে একটি সমন্বিত জলবায়ু চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে দেশগুলো এখনো দর কষাকষি করছে।  

এইদিকে শনিবার ডারবানে প্রায় ২০ হাজারের মত জলবায়ু কর্মী উন্নত দেশগুলোর কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা কমানোর দাবী সহ জলবায়ু ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার দাবী নিয়ে রাস্তায় সমাবেশ করে।

শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জূমা বলেছিলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ডারবানে আলোচনা ভাল মতই চলছে, নানা মত থাকলেও কিয়োটো প্রটোকল দ্বিতীয় বারের নবায়নের ব্যাপারেও আমি আশাবাদি।

অন্যদিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার অনুষ্ঠানগুলো থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে স্থানান্তরিত মানুষদের অধিকার সুরক্ষার দাবিতে নতুন এক প্রটোকলের দাবি করা হয়। আগামি ৫ ও ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দুটি সাইড ইভেন্ট থেকে নভেম্বর মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের গৃহীত দাবী এবং জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক আলোচনায় শেষ কয়েক বছর ধরে যুক্ত লস অ্যান্ড ড্যামেজ (ক্ষয় ক্ষতি)বিষয়ে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সরাসরি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে লস অ্যান্ড ড্যামেজ নামের আলাদা একটি কাঠামো গঠনে ইউএনএফসিসিসির এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ শুরু থেকেই নেতৃত্ব দিয়ে আসছে।

এবারের কপ ১৭-এ লস অ্যান্ড ড্যামেজ বিষয়ে একটি কাঠামো চুড়ান্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে; যার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের সরাসরি ক্ষতি বের করা  সহ বিরুপ আবহাওয়ার কারণে বিভিন্ন রোগের প্রভাব নির্ণয় করা যাবে। এইরুপ ক্ষয়ক্ষতির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সহযোগিতাও ক্ষতিগ্রস্ত দেশ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সোমবার থেকে শুরু হওয়া আলোচনায় বাংলাদেশের পরিবেশ ও বন মন্ত্রী সহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীরা তাদের বক্তব্য দেবেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরা হবে।

আব্দুল্লাহ আল রেজ়ওয়ান নবীন
ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট চ্যাম্পিয়ন, ব্রিটিশ কাউন্সিল
বাংলাদেশ ইয়ুথ মুভমেন্ট ফর ক্লাইমেট (বিওয়াইএমসি)
www.facebook.com/BDYOMOC

বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।