খাঁচার দরজা খুলে দেওয়ার পর ধীরে বের হয়ে প্রকৃতির দিকে এগিয়ে যায় সে। পরক্ষণেই নিজেকে আড়াল করে ফেলে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. আনিসুর রহমান, মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন, বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিক, বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা লিজা প্রমুখ।
বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিট সূত্র জানায়, বনরুইটি ৮ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম থেকে রংপুর বন বিভাগ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এটিকে লাউয়াছড়ায় ছাড়ার উদ্দেশ্যে ঢাকার আগারগাঁওয়ের বন ভবন থেকে নিয়ে আসা হয়।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম মল্লিক বাংলানিউজকে বলেন, কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকায় আনার পর সে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। প্রায় আধাকেজি মুরগির ডিম খাওয়ানোর পরই সে যেন তার বুনো প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পায়। শুরু করে খাঁচার ভেতর দৌঁড়ঝাপ।
বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটের পরিচালক জহির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, রুই মাছের আঁশ এদের শরীরে আছে বলে এর নামকরণ হয়েছে ‘বনরুই’। এরা আশযুক্ত স্তন্যপায়ী প্রাণী। বনরুই শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা পৃথিবীতে এটি ‘মহাবিপন্ন’ একটি প্রাণী। এবছর আমরা তিনটি বনরুই পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করে প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি।
বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটের কাজ হলো বন্যপ্রাণীদের পালনকারী বা পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করে প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দেওয়া। আমাদের প্রকৃতি থেকে শকুন হারিয়ে গেছে প্রায়। এখন আমাদের দেশে যেসব মূল্যবান প্রজাতির বন্যপ্রাণী রয়েছে, আমরা চাই তাদের ধরে রাখতে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
বিবিবি/এএ